মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, টেকনাফ থেকে : মিয়ানমারের মংডু এলাকার ট্যানাইসুট, কাউয়ারবিল ও নাকফুরায় তিনটি বিজিপি ক্যাম্পে অস্ত্র লুট ও পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার নৌ চলাচল ট্রানজিট বন্ধ রয়েছে এবং সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। এতে করে মিয়ানমারের ঘটনায় টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় তেমন কোন প্রভাব পড়েনি।
একটি অসমর্থিত সূত্র দাবি করছে, হামলার পর থেকে মংডুসহ আরাকান রাজ্যে সন্ধ্যা ৭টা হতে ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। মিয়ানমারের মংডুতে ৩টি বিজিপি ক্যাম্পে একযোগে হামলার ঘটনায় উভয়পক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৯ জন বিজিপি সদস্য ও ৯ জন হামলাকারী বলে দাবি করেছে সূত্র। এছাড়া দু’জন হামলাকারীকে বন্দি করারও দাবি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বন্দির ছবি প্রকাশ পেয়েছে। তবে তার পরিচয় জানা য়ায়নি।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফস্থ বিজিবি ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ মিয়ানমারের ঘটনা প্রসঙ্গে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মংডুস্থ কাউয়ারবিল বিজিপি সদর দফতর থেকে বিজিবিকে অনুরোধ করে জানানোর পর থেকে হামলাকারীরা যাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে বিজিবির সহায়তা কামনা করা হয়েছে। তাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সেই সাথে বাংলাদেশ থেকে কোনো ট্রানজিট বোট মিয়ানমার যায়নি এবং মিয়ানমার থেকে কোনো ট্রানজিট পাস নিয়ে বাংলাদেশে আসেনি।
এছাড়া যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে নাফ নদীতে জেলেদের মৎস্য শিকারের উপর মৌখিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
টেকনাফ স্থল বন্দরের অভিবাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব) আনোয়ার হোসেন জানান, রবিবার মিয়ানমার হতে কোনো অভিবাসন যাত্রী বাংলাদেশে আসেনি এবং বাংলাদেশ হতে মিয়ানমারে কোনো যাত্রী গমন করেনি। এছাড়া টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়া ট্রানজিট জেটি দিয়ে প্রতিদিন পারাপার করা উভয় দেশের লোকের একদিনের যাতায়াত বন্ধ ছিল।
টেকনাফ স্থলবন্দর কাস্টমস কর্মকর্তা আব্দুল মন্নান জানান, মিয়ানমারের পণ্যবাহী কোনো ট্রলার স্থলবন্দরে প্রবেশ করেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন