এক রাতের বৃষ্টিতেই তলিয়ে গেছে রংপুর মহানগরীর বেশিরভাগ এলাকা। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর পানি। আবার কোথাও বাড়ি-ঘরেও পানি। পানিবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে অনেক রাস্তা। নগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার অলিগলি সব জায়গাতেই পানিবদ্ধতা। বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করায় নগরীর প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। নগরবাসীর জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরে ২৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে রোববার রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ৭ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২২২ মিলিমিটার।
রাতভর বিরামহীন বৃষ্টিতে টইটুম্বুর হয়ে পড়েছে নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসনের একমাত্র খাল ‘শ্যামা সুন্দরী ক্যানেল’। অবৈধ দখল আর ময়লায় ভরপুর হয়ে পড়য়ায় পানি নিষ্কাশনের পথ অনেকটাই বন্ধ হয়ে পড়েছে এই খালের। ফলে খাল উপচিয়ে নগরীর অলি-গলিতে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভারী বর্ষণের কারনে নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে সবচেয়ে বেশি পানি প্রবেশ করায় পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক রাস্তা তিন থেকে চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। নগরীর গুড়াতি পাড়া, সাতগাড়া মিস্ত্রি পাড়া, নিউ সেনপাড়া, আদর্শপাড়া, বাবুখাঁ, কামার পাড়া, জুম্মাপাড়া, গোমস্তাপাড়া, কেরানীপাড়া, আলমনগর, হনুমান তলা, মুন্সিপাড়া, মুলাটোল আমতলা, শালবন, মিস্ত্রিপাড়া, কামাল কাছনা, মাহিগঞ্জ, কলাবাড়ি দর্শনা, জলকর, নিউ জুম্মাপাড়া, খটখটিয়াসহ অন্তত শতাধিক পাড়া-মহল্লার অলিগলিসহ প্রধান সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব পাড়া-মহল্লার তুলনামূলক নিচু এলাকার বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। তবে সন্ধ্যা নাগাদ অনেক স্থানের পানি নেমে গেছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বৃষ্টি আরও দুই-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এভাবে বৃষ্টিপাত হলে নগরীর বেশির ভাগ এলাকা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও জানান, গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় ৪৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন