খুলনায় জেলা পরিষদে একটি টেন্ডারকে কেন্দ্র করে মফিজুল ইসলাম নামে এক ঠিকাদারকে বেদম মারপিট করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল জেলা পরিষদ অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। বতর্মানে ওই ঠিকাদার খুলনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, এ ঘটনার নেপথ্যে কলকাঠি নেড়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ঘনিষ্টজন বলে পরিচিত, নানা সময়ে বিতর্কিত প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহবুবুর রহমান।
আহত ঠিকাদার মফিজুল ইসলাম জানান, করোনাকালীন ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (হ্যান্ড ওয়াশ, স্যানিটাইজার ও মাস্ক) সরবরাহ করেন তিনি। সেই সরবরাহের বিল এখনও বকেয়া রয়েছে। সেই বিলের বিষয় নিয়ে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা বলতে যান তিনি ও অপর ঠিকাদার মোহাম্মদ আলী। এ সময় প্রশাসনিক কর্মকর্তার কক্ষে তার ঘনিষ্ট সুজন নামে এক ব্যক্তি বসা ছিলেন। বিলের বিষয় নিয়ে কথা বলা শুরু করতেই প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সুজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। অবস্থা বেগতিক দেখে আমরা তাঁর কক্ষ থেকে বের হয়ে আসি। রুমের বাইরে আসলে সুজন তাকে চড় কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এ সময় তাঁর হাতে থাকা ভারি ধাতব বস্তু দিয়ে তার কপালে সজোরে আঘাত করে। এতে তার কপাল ফেটে যায়। বর্তমানে তিনি খুলনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অপর ঠিকাদার মোহাম্মদ আলী বলেন, সুজন জেলা পরিষদের কেউ না। প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবের সাথে ছায়ার মত লেগে থেকে বিভিন্ন অবৈধ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে। আমরা বিল নিয়ে কথা বলতে গেলে সে পাশ থেকে আমাদের ধমকাতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা সেখান থেকে বের হতে উদ্যত হই। মাহবুবের রুম থেকে বের হলে রুমের সামনেই আমাদেরকে মারপিট করে। গুরুতর জখম অবস্থায় মফিজ ভাইকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সচিব বিষ্ণুপদ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ঘটনার সময় আমি বাইরে ছিলাম। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খুলনার বাইরে রয়েছেন। তিনি আসলে আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব। খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারীসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। পরিষদের চেয়ারম্যানের খুব কাছের মানুষ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না-এমন অভিযোগ প্রায়ই করে থাকেন সাধারণ ঠিকাদারেরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন