মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বালাগাল উলা বিকামালিহি কাসাফাদ্দোজা বিজামালিহি

এ.কে.এম. ফজলুর রহমান মুন্শী | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

মাহে রবিউল আউয়ালের এই মুবারক দিনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পবিত্র দরবারে অগণিত শোকরিয়া আদায় করছে এবং প্রিয় নবী মোহাম্মাদ মোস্তাফা আহমদ মুজতবা (সা.)-এর খেদমতে পেশ করছি অগণিত দরূদ ও সালাম। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত আমাদের এই অন্তর-খেঁচা নিবেদন কবুল ও মঞ্জুর করুনÑআমীন!

পরম করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত সারা দুনিয়ার মানুষকে সুপথের পথিক করার জন্য এবং তাদেরকে স্বীয় মুকাররাব বান্দাহরূপে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে যুগে যুগে, কালে কালে বহু নবী ও রাসুলগণকে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ পাকের প্রেরিত পুন্যাশ্রায়ী এই বান্দাহগণ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে প্রমাণ করেছেন। পরিশেষে এই ধুলার ধরণীতে শুভাগমন করলেন দো’জাহানের সর্দার আকায়ে নামদার তাজদারে মাদীনা, রাহমাতুল্লিল আলামীন, সাইয়্যেদুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যিন হজরত মোহাম্মদ মুস্তাফা আহমাদ মুজতবা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাঁর আগমন ঘটল আবরী বৎসরের প্রথম বসন্তরূপে খ্যাত মাহে রবিউল আউয়ালে। এতে করে কুল মাখলুকাতের গুল বাগিচায় নতুন প্রাণ স্পন্দনের জোয়ার দেখা দিলো। তাঁর সর্বোত্তম পবিত্র মাহাত্ম্য, অতুলনীয় নমনীয় প্রাণস্পর্শী। সুব্যবহার, মধুময় চিত্তাকর্শক বাচনভঙ্গী, কূল-কিনারাহীন জলধিসম, দয়াময় অতুলনীয় ক্ষমাশীলতা, দিগন্ত বিস্তুত দানশীলতা, গিরিশৈল শিখর পরিবেষ্টিত উদারতা এবং অবারিত মহানুভবতার বরকতে পাক-পাকে নিমজ্জিত পৃথিবী ও অন্ধকারে বিলুপ্ত প্রায় মানবতার ভাগ্যাকাশে প্রথম নির্মল ও নিদারুল বসন্তের পরশ লাগল। তিনি গোটা পৃথিবীর পথহারা, দিশাহারা, ছন্নছাড়া, পাগলপারা জনসমুদ্রকে উপহার দিলেন আল্লাহ পাকের দেয়া হেদায়াতের অনির্বান মহান আল-কোরআনুল মাজিদ। এই কোরআনই হলো সর্বশেষ আসমানী কিতাব। এরপর আর কোনো আসমানী কিতাব নাজিল হবে না। এতে রয়েছে ইহকাল ও পরকাল বিষয়ক যাবতীয় দিকনির্দেশনা। এই নির্দেশনাগুলো তিনি তেইশ বছরের নব্যুওয়াতি জিন্দেগিতে পরিপূর্ণ রূপে বাস্তবায়ন করে গেছেন। তিনি স্বীয় জবান মোবারকে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন: ‘হে বিশ্বমানবকূল! আমি তোমাদের মাঝে দু’টি বস্তু রেখে যাচ্ছি। এই দুটি বস্তু তোমরা যতদিন আঁকড়ে ধরে রাখবে, ততদিন কস্মিনকালেও পথভ্রষ্ট হবে না। একটি হলো আল-কোরআনম্ মাজিদ এবং অপরটি হলো আল কোরআনের ব্যাখ্যা আমার সুন্নাহ বা জীবনাচার। এ জন্য প্রিয় নবীজি (সা.) এর অনুসরণ ও অনুকরণ অত্যাবশক মনে করা মানব জীবনের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব ও কর্তব্য। কেননা, যারা তার অনুসরণ করবে, শুধুমাত্র তারাই নাজাত লাভ করবে। আর যারা তার অনুসরণ করবে না, তারা অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাবে। এর কোনো পরিবর্তন হবে না। তাই আসুন, মহা কবি শায়খ সা’দী (রহ:) এর সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে আমরাও নবী প্রশস্তির ঝর্ণা ধারায় অবগাহন করি এবং বলি, ‘বালাগাল উলা বি কামালিহি, কাসাফাদ্দুজা বি জামালিহি, হাসুনাত জ্বামিয়ূ খিসালিহি, সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহি’।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
এম মোজাম্মেল হোসাইন অভি ৯ অক্টোবর, ২০২১, ৬:১৪ এএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ স্বাগতম মাহে রবি-উল-আওয়াল❤️
Total Reply(0)
Mohammed Siraj ৯ অক্টোবর, ২০২১, ৬:১৪ এএম says : 0
দুরুদে ইব্রাহিম শ্রেষ্ঠ দুরুদ
Total Reply(0)
Md Arman Hossain ৯ অক্টোবর, ২০২১, ৬:১৫ এএম says : 0
মাশাল্লাহ খুব ভালো লিখেছেন
Total Reply(0)
Gazi Mamun ৯ অক্টোবর, ২০২১, ৬:১৫ এএম says : 0
দুরুদে ইব্রাহীম থাকতে ei দুরুদের গুরুত্ব কতটুকু?
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন