ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নগরীর পানিবদ্ধতা সমস্যা নিরসনকল্পে সুপরিকল্পিত জলাধার থাকা প্রয়োজন। কিন্তু খালগুলো অবৈধভাবে দখল ও ভরাটের কারণে সেগুলোতে পানির কোন প্রবাহ নেই। এজন্য বিনা নোটিশেই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। গতকাল শনিবার খিলগাঁও তালতলা নতুনবাগ পানির পাম্প এলাকায় এডিস ও কিউলেক্স মশার বিস্তার রোধকল্পে মশক নিধনে বিশেষ অভিযান উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। মেয়র বলেন, এডিসের পাশাপাশি কিউলেক্স মশার বিস্তার রোধকল্পে সামাজিকভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এবং প্রত্যেককে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
আতিক বলেন, এডিস মশার জন্ম হয় বাসা-বাড়ির স্বচ্ছ পানিতে আর খাল, বিল, ঝিল, ডোবা, নালা, ড্রেন, কচুরিপানা ইত্যাদির অস্বচ্ছ ময়লা পানিতে কিউলেক্স মশার জন্ম হয়।
তাই যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা-আবর্জনা রাখতে হবে এবং নিজেদের বাসাবাড়ী ও আশেপাশের পরিবেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে মশার বংশবিস্তার রোধ করতে হবে। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে যে কোন নাগরিক যদি ময়লা-আবর্জনার ছবি তুলে পাঠিয়ে দেয় তাহলে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে। আতিকুল ইসলাম এডিসের পাশাপাশি কিউলেক্স মশার বিস্তার রোধকল্পে ৯ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ৬ দিনব্যাপী মশক নিধনে বিশেষ অভিযানের শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় ডিএনসিসি মেয়রের নির্দেশনা মোতাবেক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী পরিচালিত মোবাইল কোর্টে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ভবনটির সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. ফরহাদ হোসেনকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
এ ছাড়া রাস্তা দখল করে একই ভবনের নির্মাণসামগ্রী রাখার কারণে মো. সুয়িন রেজাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয় এবং রাস্তা দখল করে রাখা নির্মাণসামগ্রীগুলো ২৫ হাজার টাকায় স্পট নিলাম করা হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক এবং স্থানীয় কাউন্সিলর মো. শাখাওয়াত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন