জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু জিএম কাদের বলেছেন, ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতা না ছাড়তে চাওয়াই রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি। এই অপচেষ্টা হচ্ছে রাজনৈতিক বিকৃতি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রবেশদ্বার। সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই গণতন্ত্রের চর্চা সম্ভব। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশন আইন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন করতে বিগত তত্ত¡াবধায়ক সরকারগুলোর উপদেষ্টা লেভেলের নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য লোক নিয়োগ দিয়ে তাদের হাতে সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা দিতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে দেশের নির্বাহী বিভাগ সম্পূর্ণভাবেই নির্বাচন কমিশনের অধিনে কাজ করবে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারছেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এর সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার ইকবাল জাতীয় পার্টিতে যোগ দান অনুষ্ঠানে জিএম কাদের এ কথা বলেন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, কয়েকটি দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নির্বাচনের জন্য খন্ডকালীন সমাধান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা স্থায়ী সমাধান নয়। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাস পর বিলুপ্ত হলে, পরবর্তী উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকার প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আইন করে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন না হওয়ায় নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করছে না বা সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। তাই, জনগণের ইচ্ছে অনুযায়ী প্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছে না। নির্বাচনে গণমানুষের প্রত্যাশা প্রতিফলিত হচ্ছে না। এ কারণেই, নির্বাচন কমিশনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা এখন শূন্যের কোঠায়।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, দেশের মানুষ ১৯৯১ সালের পর থেকে অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দেখছে। দেশের মানুষ পরিবর্তন দেখতে উন্মুখ হয়ে আছে। সাধারণ মানুষের বিচার বিশ্লেষণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তুলনায় জাতীয় পার্টির রাষ্ট্র পরিচালনায় দেশের মানুষ বেশি সুশাসন ভোগ করেছে। তাই, দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে এব বুক প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। দেশের মানুষ আবারো জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র পরিচালনায় দেখতে চায়।
উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, লেঃ জেঃ (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা রানী, শফিউল্লাহ শফি, মৌলভী ইলিয়াস, আহমেদ শফি রুবেল, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হক নুরু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, এনাম জয়নাল আবেদিন, আনোয়ার হোসেন তোতা, সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, মাখন সরকার, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য এমএ রাজ্জাক খান, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, গোলাম মোস্তফা, মিজানুর রহমান মিরু প্রমুখ।
যোগদানকারীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মো. মোতাহার হোসেন, শহীদুল ইসলাম, ইসমাইল, এমডি রুমি, মো. রিফাত, মো. রুপক রায়হান, জামাল আব্দুল নাসের, মো. আব্দুল মুহিত, সাঈদ আহমেদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন