চট্টগ্রাম ব্যুরো : আশ্বিন তথা শরৎ ঋতুর বিদায়বেলায়ও বর্ষারোহী মৌসুমি বায়ুমালা সক্রিয় রয়েছে। এর প্রভাবে দেশের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত, কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এদিকে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার প্রভাবে হঠাৎ উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর। এ কারণে সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩নং স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখানো হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে হাতিয়ায় ১৩১ মিলিমিটার। এ সময় চট্টগ্রামে ১৫, সিলেটে ৮, রাজশাহীতে ৫৪, রংপুরে ৩৬, বরিশালে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অব্যাহত বর্ষণের ফলে ভ্যাপসা গরম কেটে গিয়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমে এসেছে।
আবহাওয়া সতর্ক বার্তায় গতকাল বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হওয়ার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বা বলয় ভারতের উত্তর-প্রদেশ, বিহার, উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটির বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আজ (বুধবার) সন্ধ্য পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, ময়মনসিংহ, খুলনা, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন