বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

একদিনে বিসিএসসহ সাত চাকরির পরীক্ষা : যা বলছেন নেটিজেনরা

শাহেদ নুর | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ২:০০ পিএম

আগামী ২৯ অক্টোবর (শুক্রবার) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) সহ সাত চাকরির পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে একাধিক পরীক্ষা পড়ে যাওয়ায় অনেক প্রার্থীই এক বা দুটির বেশি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছে নেটিজেনরা। তারা এর একটি সুষ্ঠ সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।

সূচি অনুযায়ী, ২৯ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের আট বিভাগে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। একই দিন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক পদে লিখিত পরীক্ষা, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ‘এসবিএ’ পদে নিয়োগের পরীক্ষা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদের ব্যাবহারিক পরীক্ষা, পদ্মা অয়েল কম্পানি লিমিটেডের বিভিন্ন পদের মৌখিক পরীক্ষা, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগের বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে, গত ৮ অক্টোবর, শুক্রবার এক দিনে ১৩ চাকরির পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেদিন অনেক প্রার্থীর একাধিক পরীক্ষা পড়ে। কোনো কোনো পরীক্ষা হয় একই সময়ে।

এ প্রসঙ্গে এনামুল হক লিখেছেন, ‘বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সার্কুলারে আবেদন করেছি। এখন পরীক্ষা পরলো এক সাথে। কোনটা দেবো আর কোন বাদ দেবো বুঝতেছি না। এরকম সমন্বয়হীনতার কোন মানে হয় না।’

নীরা হকের প্রশ্ন, ‘চাকরি প্রত্যাশীদের সাথে কি মজা করা হচ্ছে? একদিনে ভিন্ন ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা নিলে আমরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো কীভাবে?’

উম্মে কুলসুম জুঁই মনে করেন, ‘প্রতিটা পরিক্ষার ডেট ভিন্ন ভিন্ন করা উচিত।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে কাওসার আহমেদ লিখেছেন, ‘এমনিতেই করোনায় ২ বছর চলে গেছে। বয়সও প্রায় শেষ। এখন যদি আবেদন করা পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণ করতে না পারি তাহলে তো বেকারই থাকতে হবে। এর কি কোন সমাধান নেই? কর্তাব্যক্তিরা কি এসব দেখেন না নাকি বুঝেন না?’

বিরক্তি প্রকাশ করে রফিকুল ইসলাম লিখেছেন, ‘জবাবদিহির জায়গাটা অনেক আগেই হয়তো হারিয়ে গেছে! নইলে একটা নিয়োগসংক্রান্ত স্বচ্ছ ও জবাবদিহি কমিটি থাকত! কপাল চাপড়ানো ছাড়া আর কিছুই বোধ হয় করার নেই আমাদের!’

জতন পলের পরামর্শ, ‘এখন‌ই উপযুক্ত সময় সব চাকরির সমন্বিত পরিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করার। এক্ষেত্রে পিএসসির জনবল বৃদ্ধি করে সকল শ্রেণীর কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের ব্যবস্থা করলে, চাকরি প্রত্যাশী বেকার ভাইবোনের অর্থ সাশ্রয়, সময় এবং ঝামেলা কমে আসবে। এই উদ্যোগটি গ্রহণ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে থমকে গেছে। এই উদ্যোগটির বাস্তবায়ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

তাছনিয়া তাবাচ্ছুম লিখেছেন, ‘সব চাকরিপ্রার্থীর চাওয়া একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহি নিয়োগসংক্রান্ত কমিটি। একটি কমিটি থাকবে যার অধীনে সব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসবে ও পরীক্ষা হবে। এতেই হয়তো ভুক্তভোগী আবেদনকারীদের মুক্তি মিলতে পারে। দীর্ঘদিন ধরেই শুনছি এ দায়িত্ব কোনো একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে। তবে তেমন অগ্রগতি দেখা যায়নি। কেউ কোনো দিন হয়তো ভাবেইনি এসব নিয়ে!’

ভিন্ন কথা লিখেছেন মুস্তাফিজ জামিল হিমেল। তিনি লিখেছেন, ‘খুব ভালো হয়েছে। চাকরি যাদের হবে, তাদের সবগুলোতেই হবে। তাই একই দিনের সকল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ভিন্ন ভিন্ন জন চাকরিতে সুযোগ পাবে, ইনশাআল্লাহ।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মিজানর রহমান ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ২:২৭ পিএম says : 0
এমন যদি হতো, এক জন ব্যাক্তির সর্বোচ্চ্ দুটি চাকরি হওয়ার পর যদি রোল নম্বর ব্লক করে দেওয়া হতো, তাহলে আরো বেশী মানুষ চাকরিতে ডুকার সুযোগে পেতো, যাদের প্রিপারেশন একবার হয়ে গেছে তারা জীব্ন ভরে পরীক্ষা দিলেও তাদের চাকরি হবে৤ কিন্তু যারা প্রাইভেট চাকরি করে তারা যারা পড়াশুনার সাথে লেগে আছে, তারা পরার সময় অত পায়না .ফলে তারা আর চাকরিতে ডুকার সুযোগ হারায়৤
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন