শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্পোরেট

রাজধানীতে চলছে পাঁচ দিনব্যাপী ফার্নিচার মেলা

প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্টার : রাজধানীতে চলছে পাঁচদিনবাপী ফার্নিচার মেলা। মঙ্গলবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ১৩তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা ২০১৬ শুরু হয়। চলবে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্প মালিক সমিতি এবং ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টার লিমিটেড যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে। দেশের প্রায় ২৬টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। ভোক্তাদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ছাড় এবং অফার। নতুন নতুন নান্দনিক নকশাসম্পন্ন ফার্নিচার পাওয়া যাচ্ছে এই মেলায়। ন্যূনতম ৬০ হাজার টাকা থেকে চার লাখ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে একটি বেডরুম সেট। সব প্রতিষ্ঠানটিই মেলা উপলক্ষে ১০-৩০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। দেশের আসবাবপত্রশিল্প একসময় ক্ষুদ্র থাকলেও বর্তমানে তা বড় শিল্প হিসেবে বিকাশ ঘটেছে। ফলে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। এছাড়া এ খাতে ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সঠিক পরিচর্যা করা গেলে ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে বলে মনে করে এ খাতের উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তারা বলে, এই খাতের ৪০ হাজার কোটি টাকার বিশ্ববাজার রয়েছে। এর মধ্যে চীন একাই প্রায় ৫২ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। এছাড়া চীন উচ্চমূল্যে সংযোজনী পণ্যে নজর বেশি দেয়ায় বাংলাদেশের এই বাজারে অবস্থান তৈরি করা খুব সহজ। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংযোগ শিল্পের অভাবে এই খাতের রফতানি আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে না। গত অর্থবছরে এই খাত থেকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার রফতানি আয় হয়েছে। তবে সরকারের ১৫ শতাংশ নগদ সহায়তা উদ্যোক্তাদের আশান্বিত করেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, আসবাব খাতকে এগিয়ে নিতে শুধু নগদ সহায়তা নয়, অগ্রাধিকার খাত হিসেবে অন্যান্য সুবিধা দেয়ার ব্যাপারে সরকার বদ্ধপরিকর। ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা বলেন, দেশের রফতানি খাত মাত্র কয়েকটি পণ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। তাই রফতানি আয় বাড়াতে রফতানি বহুমুখীকরণ করতে হবে। তাই ফার্নিচারসহ অন্যান্য খাতে রফতানি আয় বাড়াতে সরকার নগদ প্রণোদনসহ বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছে। বাংলাদেশের ফার্নিচারও বেশ সম্ভাবনাময়ী। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মানের ফার্নিচার শক্ত অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। গত অর্থবছরে এ খাত থেকে আয় হয়েছে চার কোটি ৬২ লাখ ডলার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন