আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার মানুষের কোনো নিরাপত্তা দিতে পারছে না। এমনকি মানুষের উৎসবগুলো পর্যন্ত অনিরাপদ হয়ে পড়ছে। নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ এই সরকার থাকার আদৌ প্রয়োজন আছে কি না, সেই প্রশ্ন রেখেছেন বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
গতকাল শনিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘জনতার অবস্থান’ শীর্ষক এক সমাবেশে সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই প্রশ্ন তোলেন। দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক হামলা ও রাজনৈতিক অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বন্ধের আহ্বানে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দীন বলেন, দেশে যে ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে, তারা সচেতনভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে লালন-পালন করে টিকে আছে। কুমিল্লার ঘটনাটি সাজানো, তা শিশুরাও বুঝতে পারে। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে শাসকগোষ্ঠী নানা হিসাবনিকাশ মেলাচ্ছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করতে চাইছে।
ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি অনিক রায় বলেন, যে সরকার বাজারে, বাড়িতে, উৎসবে কোথাও মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই সরকার থাকার আদৌ প্রয়োজন আছে কি?
কবি রহমান মফিজ বলেন, গত কয়েক দিনের বর্বরতা আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি কায়েমি স্বার্থ হাসিলের জন্য এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটায়। সাধারণ মানুষ এসব হামলায় জড়িত নন। সামনে ভারতের ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচন সামনে রেখে কোনো খেলা এখানে হচ্ছে কি না, সেটি আমাদের ভেবে দেখতে হবে। কারণ অতীতে আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের আগে এমন ঘটনার জন্ম দেয়া হয়েছে।
অ্যাকটিভিস্ট মার্জিয়া প্রভার সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উদীচীর সংগঠক আরিফ নূর বক্তব্য দেন। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন