হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার দুই দিক দিয়ে লাভবান হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, সরকারের লাভ হচ্ছে- হিন্দুদের তাড়াতে পারলে তাদের সম্পত্তি পায়, আর রাখলে ভোট পায়। দুই দিকেই তাদের লাভ। তিনি সকল ধর্মপ্রাণ মানুষ, আলেম-ওলামাদের কাছে আবেদন জানান, সরকারের ফাঁদে পা না দিয়ে সচেতন হওয়ার এবং কোন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয়, সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার।
রোববার (১৭ অক্টোবর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাবলী নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।ল
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সাম্প্রতিককালের ঘটনা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকী। কারণ সারাদেশের মানুষের মধ্যে একটা রব আছে সরকারের পতন হচ্ছে। সরকারও নানা জটিল রোগে ভুগছে। তাদের আভ্যন্তরীণ সমস্যাও যথেষ্ট। সবকিছুকে চাপা দেয়ার জন্যই এই ধরণের মর্মান্তিক ও মানবতাবিরোধী কর্মকা- সরকারের অনেক নাটকের মধ্যে আরও একটি নাটক।
তিনি বলেন, গত ৭০ বছরে ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশে ১২৩২টি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। যার পেছনে হয় গুজব না হয় রাজনৈতিক কারণ ছিল। এবারের ঘটনাটাও গুজব নির্ভর না তৈরি করা গুজব? গুজব তৈরি করছে সরকারের লোকেরা প্রচার করছে। যারা মন্দিরে হামলা করছে তাদের পেছনেও সরকারের মদদ আছে, যারা পবিত্র কোরআন শরীফ মন্দিরে নিয়েছে তাদের পেছনেও। কুমিল্লার ওসিকে কেন এখনো বরখাস্ত করা হয়নি। তাকে রিমান্ডে নিয়ে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না? সরকার আসলে পুরোটাই গোয়েন্দা-আমলা নির্ভর, জনগণ নির্ভর না।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে সরকারে থাকার পৈশাচিক মানসিকতা, এটাই শেষ না এর চেয়ে আরও নারকীয় ঘটনা সরকার ঘটাতে পারে। মানুষ বিশ্বাস করে, হিন্দু সম্প্রদায়ের কেউ পবিত্র কোরআন শরীফ মন্দিরে রাখতে পারে না। এটা সরকারের কাজ। রাজনৈতিক কারণে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে, গণতান্ত্রিকে শক্তিকে ধ্বংস করার সর্বশেষ প্রচেষ্টা এই সরকার করছে। তবে জনগণ সচেতন, এই সচেতনতা, দেশাত্মবোধ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে সরকারের মোকাবেলা করতে হবে। এই ষড়যন্ত্র শুধু একা বিএনপি, হিন্দু সম্প্রদায় মোকাবেলা করতে পারবে না। এজন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। সরকার আলেম-ওলামাদের নিয়েও খেলাধুলা করে। এই খেলাধুলা নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। রাজনৈতিক দৃষ্টিতে দেখেন, শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিতে দেখলে ভুল হবে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান, বরকত উল্লাহ বুলু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মীর সরাফত আলী সপু, এবিএম মোশাররফ হোসেন, কামরুজ্জামান রতন, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন