বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ করতে হবে : নাসিম

প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্য নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন হবে ২০১৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। সেই নির্বাচনে আমাদের বিজয়ী হতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে সবাই কাজ করবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালিপূর্ব সমাবেশের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। জাতীয় শ্রমিক লীগের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সমাবেশ ও র‌্যালির আয়োজন করা হয়। ১৯৭৯ সালের ১৩ অক্টোবর জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠা হয়।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময় শ্রমিকদের উপর গুলি চালানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর শ্রমিকদের সব দাবি মেনে নিয়েছেন। এ জন্য শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করছেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সে কারণে আগামী নির্বাচনে আমাদের বিজয়ী হতে হবে এবং আমরা বিজয়ী হবো। সেই লক্ষ্য নিয়ে আপনাদের উন্নয়ন সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে হবে। ওই নির্বাচনে বিএনপি বিলীন হয়ে যাবে। তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সমাবেশে শেষে একটি র‌্যালি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে জিরো পয়েন্ট, পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কার্যকরি সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সংগঠনের নেতা আব্দুস সালাম খান, হাবিবুর রহমান আকন্দ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
‘ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুন’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করুন। গতকাল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, সরকার ভেজাল ওষুধ তৈরির ৬৮টি কোম্পানিকে বন্ধ করেছে। এর মধ্যে ২৩টিকে সম্পূর্ণ এবং বাকিগুলোকে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। এসব কোম্পানি চালু করে দিতে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীরা তদবির করছেন, কিন্তু সেগুলো আমলে নেয়া হয়নি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে ভেজাল ওষুধের কোম্পানি ১০০টি হলেও বন্ধ করা হবে। এ ধরনের কোম্পানিকে যেন ওষুধ শিল্প সমিতি সদস্য না করে, তার জন্যেও নির্দেশ দেন তিনি। ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, যারা ভেজাল ওষুধ বানায়, তারা অমানুষ। এসব  কোম্পানির ওষুধ খেয়ে আপনার সন্তান, স্বজনের জীবনও যেতে পারে। তাই অনুমোদন দিবেন না।
মন্ত্রী আরো বলেন, আদালত অনেক সময়ই আমাদের সঙ্গে কথা না বলে ওষুধ কোম্পানিকে বন্ধ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। এর ফলে তারা সুযোগ পেয়ে যান। আমাদের তদন্ত কমিটির মাধ্যমে রিপোর্ট নেই আমরা। কোর্টের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, এসব কোম্পানিকে যেন বন্ধ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া না হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভেজাল ওষুধে যেন ছাড় দেয়া না হয়।
পোল্ট্রি শিল্পেও অনেক এন্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয় এ কারণে মানুষের শরীরেও এন্টিবায়োটিক রেসিসটেন্স হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে নজর দেয়ার জন্যে বলেন জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য সচিব  সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ওষুধ অধিদপ্তরে এর আগে ৩৭০ জনবল নিয়োগের অর্গানোগ্রাম অনুমদিত হয়েছে। বাকি একশ’ পিএসসিতে রয়েছে নিয়োগের অপেক্ষায়। ২ হাজার জনবল নিয়োগের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
ওষুধ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মে. জে. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন ওষুধ শিল্প সমিতির উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন