যাকাত তহবিল আইন-২০২১ ও চট্টগ্রাম শাহী মসজিদ আইন-২০২১ মন্ত্রিসভায় উঠছে আগামী কাল মঙ্গলবার। আগামী কাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ধর্ম মন্ত্রণালয় যাকাত তহবিল আইন-২০২১ ও চট্টগ্রাম শাহী মসজিদ আইন-২০২১ এর খসড়া চুড়ান্ত করে মন্ত্রিসভায় পাঠানোয়। এর আগে ২০১৭ সালে আইনটির খসড়া ঊস্থাপন করা হয়।
এতে বলা হয়, ১৯৮২ সালের ৫ জুন এক অধ্যাদেশ বলে যাকাত ফান্ড গঠন করেন এবং এ ফান্ড পরিচালনার জন্য উক্ত অধ্যাদেশে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট যাকাত বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের সিদ্ধান্তসমূহ সদস্য-সচিব তথা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক যথানিয়মে বাসতবায়ন করে থাকেন। যাকাত ফান্ড অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ১৯৮২ সাল থেকে ৬৪ জেলায় বিত্তবানদের নিকট হতে সংগৃহীত মেট অর্থের অর্ধেক পরিমাণ অর্থাৎ ৫০% অর্থ জেলা যাকাত কমিটির মাধ্যমে গরীব ও অসহায়দের মাধ্যে বিতরণ করা হয়।
জেলা যাকাত কমিটি যাকাত আদায় ও বিতরণ কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাছাড়া, আর্থিক সাহায্য প্রাপ্তির জন্য যারা যাকাত বোর্ড কার্যালয়ে আবেদন করে থাকেন, তাদের আবেদনসমূহ সংশ্লিষ্ট জেলা কর্তৃক যাচাই-বাছাই পূর্বক জেলা যাকাত কমিটির মাধ্যমেই বিতরণের জন্য প্রধান কার্যালয় হতে অর্থ প্রেরণ করা হয়ে থাকে। রাষ্ট্রায়ত্ত সকল সরকারী ও বেসরকারী ব্যাংকের যেকোন শাখায় ‘সরকারী যাকাত ফান্ড’ শিরোনামে নির্ধারিত একাউন্ট নম্বরে যাকাতের অর্থ জমা নেয়া হয়। রশিদ প্রদানের মাধ্যমে নগদে অথবা চেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররমস্থ দপ্তরসহ আগারগাঁওস্থ যাকাত বোর্ড দপ্তরে এবং ৬৪ জেলা কার্যালয়ে যাকাতের অর্থ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। যাকাতের অর্থ আয়কর মুক্ত।
যাকাত ফান্ডের একটা নির্ধারিত পরিমান অর্থ দ্বারা টঙ্গী যাকাত বোর্ড শিশু হাসপাতালে শিশুদের চিকিৎসা সেবা প্রদান কজরা হয়ে থাকে। এছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৬৪টি জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে এ যাবৎ সংগ্রহীত টাকার ৫০% টাকা প্রতিবন্ধী পূর্ণবাসন,দুঃস্থ পুরুষদের কর্মসংস্থঅন কার্যক্রম,যাকাত ভাতা, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান,নও-মুসলিম স্বাবলম্বীকরণ কার্যক্রম এবং দুঃস্থ-গরীব রোগীদের চিকিৎসা বাবদ আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম খাতে জেলা কার্যলয়ের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে। এসব আইন সব ঠিক রেখে নতুন কিছু যুক্ত করা হচ্ছে। কারণ আইনটি সামরিক সরকারে আমলে হওয়ার কারণে নতুন করে সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়া চট্টগ্রাম শাহী মসজিদ আইন-২০২১ এর খসড়া আগামীকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিসভায় তোলা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন