কূটনৈতিক সংবাদদাতা : চীনের প্রেসিডেন্ট শিন জিনপিং-এর বাংলাদেশ সফরে দুই দেশের মধ্যে মধ্যে ২৫টির বেশি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলী। গতকাল বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। তবে তিনি বলেন, এসব চুক্তির বিষয়গুলো নিয়ে কিছু কাজ এখনো বাকী আছে। আগামীকাল সকালে আপনাদের জানাতে পারবো। চীনা প্রেসিডেন্টের সফরে বাংলাদেশ কী পরিমাণ আর্থিক সহযোগিতা পেতে যাচ্ছে সে বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এই সফরে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি, ভৌত অবকাঠামো, সড়ক-সেতু, রেল যোগাযোগ ও জলপথে যোগাযোগ, কৃষিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা গভীর হবে। সমুদ্র সম্পদসহ দুর্যোগ মোকাবেলা, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সহযোগিতা নতুন ক্ষেত্র সংযোজন হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী পর্যন্ত রেল সংযোগের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-গুনদুম পর্যন্ত রেল সংযোগের কাজ চলছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের অনাপত্তির কারণে বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে অনেক সুবিধা নিতে পারছে না, তাছাড়া দিল্লীর সাথে এনিয়ে টানাপড়েন চলছে সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার জানা নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতির বৈশিষ্ট্য হলো, সবার সাথে বন্ধুত্ব। কারো সাথে বৈরীতা নয়।
আজ শুক্রবার দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন জিনপিং। তিন দশক পর এই সফরকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে সরকার। এই সফরে ৪০ বিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি হতে পারে বলে আশা করছেন মন্ত্রীরা। ৩০ বছর পর চীনা প্রেসিডেন্টের এই সফরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের আস্থার প্রতীক হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক নবযাত্রার সূচনা হবে বলে মনে করছে সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গত কয়েক বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্য এবং সুদৃঢ় নেতৃত্ব চীনের ভূয়সী প্রশংসা ও গভীর আস্থা অর্জন করেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে এগিয়ে এসেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের এই সফর বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের স্মারক এবং দুই দেশের অর্থনেতিক সম্পর্কে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের পথে ঐতিহাসিক নবযাত্রার সূচনা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক এবং চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন