স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এবং দলের সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত ঘোষণাপত্র উপ-কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, ২০তম জাতীয় সম্মেলনের ঘোষণাপত্রের আলোকে আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনের ইশতেহার তৈরি করা হবে।
সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে অনির্বাচিত সরকারের অধীনে বাংলাদেশে যাতে না পড়ে সে বিষয়টিও স্পষ্ট থাকবে। বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার দিক-নির্দেশনাও থাকবে ঘোষণাপত্রে জানিয়ে তিনি বলেন, অনির্বাচিত সরকারের অধীনে বাংলাদেশ যাতে না পড়ে সে বিষয়টি স্পষ্ট থাকবে। সরকার পরিবর্তন বুলেটে নয়, ব্যালটে হবে। সেই বিষয়টিও ঘোষণাপত্রে থাকবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘোষণাপত্র উপ-কমিটির বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত দলটির ২০তম জাতীয় সম্মেলন সফল করতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
শেখ সেলিম বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথাটি বরাবরের মতো এবারও আমাদের ঘোষণাপত্রে থাকবে। দেশে একজন যুদ্ধাপরাধী থাকা পর্যন্ত তার বিচার হবে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করার জন্য গৃহীত ১০টি মেগাপ্রকল্পের ঘোষণা থাকবে। যা বাস্তবায়ন হবে ২০৪০ সালের মধ্যে। যা সম্পন্ন হলে দেশের অর্থনৈতিক ভিত মজবুত হবে।
সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগের এ ঘোষণাপত্রে সামাজিক নিরাপত্তার কথা রাখা হয়েছে। সমাজে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর এবং সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমুদ্র জয় করেছি। সমুদ্রে যে প্রচুর পরিমাণ ঐশ্বর্য রয়েছে তা ব্যবহারের প্রক্রিয়াও আমাদের ঘোষণাপত্রে থাকবে।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কমিটির সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক ভোলা, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, আব্দুল মান্নান, র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন