শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মানব পাচার আইনে হয়রানি না করতে ঐক্যমত পোষণ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

বৈধভাবে বিদেশে কর্মী প্রেরণ করলে মানবপাচার আইনে হয়রানি না করতে ঐক্যমত পোষণ করা হয়েছে। কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ পাওয়া গেলে তা’বিএমইটিতে যাচাই-বাছাই করে সাত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণ করা হবে। এখন থেকে ঢালাওভাবে মানবপাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে হয়রানি করা হবে না। তবে মানবপাচার সংক্রান্ত বিষয়ে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মানবপাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সিকে হয়রানি সংক্রান্ত অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে শিগগিরই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধ মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল। অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং পুলিশ ও র‌্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা। বায়রার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, বায়রার সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহম, বায়রার সাবেক সভাপতি মো.নূর আলী, বায়রার সাবেক সভাপতি আলহাজ আবুল বাশার, সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী ও সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান।

আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের শুরুতে বায়রার নেতৃবৃন্দ মানব পাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সির হয়রানির কথা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে রিক্রুটিং এজেন্সির তথা বায়রা সদস্যদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
পরবর্তীতে মন্ত্রীগণ ও বিভিন্ন আলোচক বৃন্দ বায়রার সদস্যের অবদানের কথা স্বীকার করেন এবং বৈধ ভাবে কর্মী পাঠানোর পর মানব পাচার আইনে হয়রানি না করার বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেন।

বৈঠকে সেই মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, বৈধ কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট কোনো অভিযোগ গেলে তা প্রথমে বিএমইটিতে পাঠানো হবে তা যাচাই বাছাই করে ৭ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। যদি স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে বিদেশ যায় তাহলে কোনোভাবেই মানব পাচার মামলা হবে না। সত্যিকারের কোনো অভিযোগ থাকলে বিএমইটি কর্তৃপক্ষ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বৈঠকে বায়রার সাবেক নেতৃবৃন্দ মানবপাচার আইনে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে হয়রানি থেকে মুক্তি এবং বাস্তবমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, অতিসম্প্রতি বায়রার সাবেক সভাপতি বেনজির আহমদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লিখিতভাবে মানবপাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে হয়রানি বন্ধের লক্ষ্যে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ডাকার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এছাড়া গত মঙ্গলবার বনানীস্থ হোটেল শেরাটনে রিক্রুটিং এজেন্সী ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন অফ বাংলাদেশ (রওয়াব) এর সভাপতি ও বায়রার সাবেক অর্থ সচিব মো. ফখরুল ইসলাম আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় মানবপাচার আইনে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে অহেতুক হয়রানি বন্ধ ও কতিপয় ধারা সংশোধনের জোর দাবি জানানো হয়। রওয়াব সভাপতি ফখরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে মানবপাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে হয়রানি বন্ধে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সকলকে আন্তরিক মোবারক বাদ জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Hm RaseL ২২ অক্টোবর, ২০২১, ২:৪২ পিএম says : 0
ধন্যবাদ,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধ মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল। অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরো যারা উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং পুলিশ ও র‌্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা। বায়রার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, বায়রার সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহম, বায়রার সাবেক সভাপতি মো.নূর আলী, বায়রার সাবেক সভাপতি আলহাজ আবুল বাশার, সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী ও সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন