কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর নেপথ্যের নায়কদের খুঁজে বের করার জোর দাবি জানিয়েছেন নেটিজেনরা। পুলিশের ভাষ্যমতে ইকবাল একজন ভবঘুরে। সঙ্গত কারণেই তার পেছনে আসলে কারা খলনায়ক হিসেবে ছিল সেই রহস্য উদঘাটনের জোর দাবি উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সেই সাথে আটক ইকবাল সহ পবিত্র কুরআন অবমাননায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নেটাগরিকরা।
শারদীয় দুর্গাপূজার মহা অষ্টমীর দিন কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির উত্তর পাড়ে দর্পণ সংঘের পূজামণ্ডপে কুরআন অবমাননার ঘটনার পর ইকবালকে হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যারাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকায় ঘুরাফেরা করার সময় তাকে সেখানকার পুলিশের একটি দল আটক করে। এখন তাকে কুমিল্লায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
কুরআন অবমাননার ওই ঘটনার জের ধরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা করতে যাওয়া একদল ব্যক্তির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেখানে নিহত হন চারজন। পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা–ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় নিহত হন দুজন।
ইকবাল আটকের পর ফেসবুকে মোহাম্মাদ রিজওয়ানুল হক লিখেছেন, ‘‘সে যদি সত্যিই অপরাধী হয় তাহলে তাকে এমন শাস্তি দেওয়া হউক যাহাতে ভবিষ্যতে কেউ কখনো কোনো ধর্ম নিয়ে কটূক্তি বা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে। আর সে মাদকাসক্ত হয়ে করুক আর সজ্ঞানে করুক বিচার করতেই হবে বাংলাদেশ সরকারকে,এবং তার পেছনে যারা আছে সবাইকে আইনের আওতায় এনে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হউক। তার থেকে ছোটো কোনো শাস্তি এদের জন্য বেশি কিছুনা।’’
এইচএম মামুন লিখেছেন, ‘‘ইকবাল হলো নায়ক,তার পিছনে আছে আরো মহানায়ক, সেই মহানায়কদের ধরা হবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে,তবুও আশা করছি মহানায়কের ধরা হবে,শাস্তি হবে,আমরা সকল ধর্মের মানুষ মিলে মিশে আছি এবং আগামীতেও থাকতে চাই।’’
মিলন আহমেদ লিখেছেন, ‘‘যেই দেশে মাদকাসক্ত ব্যাক্তি দিয়ে মাত্র ২ হাজার টাকায় খুন করানো সম্ভব, সেই দেশ এ টাকা দিয়ে মন্দিরে কুরআন রাখানোও সম্ভব! এখন পুলিশ কে বের করতে হবে, ওকে দিয়ে কাজটা করালো কে?’’
রিয়াজ লিখেছেন, ‘‘যদি সত্যি এই লোক করে থাকে তাহলে তার কঠোর শাস্তি চাই। আর যদি নাটক হয় তাহলে যারা এই নাটক বানাইছে তাদেরও কঠোর বিচার চাই।’’
মোঃ হারুন লিখেছেন, ‘‘আমরা চাই অরিজিনাল অপরাধী ধরা পরুক এবং সঠিক বিচার হোক,বাট ইকবালকে দিয়ে নাটক সাজানো কতটা যৌক্তিক, জাতীর কাছে কেমন যেনো অযৌক্তিক মনে হচ্ছে।’’
টিআই তামিমের মন্তব্য, ‘‘নিজের ঘরে চুরির মাল পাওয়া গেছে, তাই সবাই আমার দিকে আঙুল তুলবে স্বাভাবিক,, কিন্তু এইও মনে রাখবেন আবু লাহাব কিন্তু মুসলিম ছিল না,মুনাফেক ছিল,,কিন্তু লাহাবের নাম দেখে তাকে মুসলিম দাবি করা বোকামি মাত্র।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন