মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সাগরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা

খননের দায়িত্ব পাচ্ছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

সাগরে প্রায় দুই ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে জ্বালানি বিভাগ। পেট্রোবাংলার কাছে ভারতের জাতীয় প্রতিষ্ঠান ওএনজিসি ভিদেশ যে তথ্য-উপাত্ত জমা দিয়েছে। অগভীর সমুন্দ্রে তিনটি কূপ খনন করে পাওয়া যেতে পারে ১ দশমিক ৯ টিসিএফ গ্যাস। এ খনন কাজের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানকে। সম্প্রতি পেট্রোবাংলা এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। বৈঠকে জ্বালানি সচিব আনিছুর রহমান বলেন, সুসংবাদটি সংবাদ সম্মেলনের মধ্যেমে ঘোষণা দেওয়া হবে। তার আগে নয়। বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহম্মদ আলী ইনকিলাবকে বলেন, কূপের ডিজাইনটি ৪ হাজার ২০০ মিটার গভীরে হচ্ছে। এর ৩ হাজার ৪০০ মিটার গভীরতায় উচ্চচাপ এলাকা (হাইপ্রেশার জোন) রয়েছে। এখানে মোট তিনটি কূপ খনন করা হবে। সব মিলিয়ে ১ দশমিক ৯ টিসিএফ গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কাজের জন্য ভারতের একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট) প্রকৌশলী মো. শাহিনুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর মহেশখালীতে কাঞ্চন-১ কূপ খনন শুরু হয়েছে। সেখানে তিনটি লেয়ারে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর গভীরতা ৪ হাজার ২০০ মিটার পর্যন্ত। গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য তিন মাস এবং বাণিজ্যিক উপযোগিতা নিরূপণের জন্য আরও তিন মাসসহ মোট ছয় মাস প্রয়োজন।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ওএনজিসি ভিদেশ এবং ইন্ডিয়ান অয়েলের সঙ্গে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে প্রডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট চুক্তি হয়। এর মাধ্যমে অগভীর সমুদ্রের ৪ ও ৯ নম্বর ব্লকে প্রতিষ্ঠান দুটিকে অনুসন্ধানের সুযোগ দেওয়া হয়। ওএনজিসি সাড়ে ৫ হাজার লাইন কিলোমিটার দ্বিতীয় মাত্রার ভূকম্পন জরিপ করে তেল-গ্যাস পাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা। এরপর ২০২০ সালে কূপ খননের উদ্যোগ নেয়। যদিও এই কূপ খনন একবছর পিছিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে। একটি কূপ এখন খনন করা হলেও বাকি দুটি কূপ খনন করা হবে আগামী বছর। প্রথম কূপের ৪০০ মিটার পর্যন্ত খনন করা হয়েছে। ৪ হাজার ২০০ মিটার পর্যন্ত খনন করতে সব মিলিয়ে তিন মাস সময় লাগতে পারে। এছাড়া পরের দুটি কূপের একটির কাজ আগামী বছরের সেপ্টেম্বর এবং অন্যটির খনন অক্টোবরে শুরু হবে। সাগর উত্তাল থাকায় সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করা যায়। বছরের বাকিটা সময় ঝড়-ঝঞ্ঝার কারণে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন করা দুরূহ হয়ে ওঠে। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের ২৫ ব্লকের মাত্র তিনটিতে কাজ হচ্ছে। বাকি ২২টি ব্লকই পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী দুটি ব্লক রয়েছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের হাতে।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানান, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের যে প্রক্রিয়া রয়েছে তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, কোথাও কূপ খনন করে নিশ্চিত হওয়ার আগে গ্যাস পাওয়ার ঘোষণা দেওয়া উচিত নয়। তবে জরিপে যদি বোঝা যায় গ্যাস পাওয়া যাবে, তাহলে সম্ভাবনার কথা বলতে বাধা নেই। আমাদের সাগরে আমরা তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে পিছিয়ে থাকলেও ভারত এবং মিয়ানমার তাদের সীমানায় গ্যাস পেয়েছে। ফলে আমাদের এখানেও গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা আমরা কাজে লাগাতে পারছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
আমি বাংলাদেশ ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ৩:২৩ এএম says : 0
ভারত কে দেওয়া মানে শিয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেওয়া, এরা কখনো বাংলাদেশের ভালো চেয়েছে এমন নজির নেই
Total Reply(0)
আলো আধাঁর কে কতদূর ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ৬:৩৬ এএম says : 0
এই খবরে আবারও দাম বাড়তে পারে!
Total Reply(0)
Arifur Rahman ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ৬:৩৭ এএম says : 0
আমাদের লাভ নেই
Total Reply(0)
তানিম আশরাফ ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ৬:৩৮ এএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ, ভালো খবর তবে ভারতকে দায়িত্ব দেওয়া মানে শেয়ালের কাছে মুরগি পাহারায় দেওয়া।
Total Reply(0)
দাওয়াতুল হক ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ৬:৩৮ এএম says : 0
কোনোভাবেই যেন ভারতকে এর দায়িত্ব দেওয়া না হই।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন