অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : দীর্ঘ তিনবছর ধরে অনিয়ম করে ডুবতে বসেছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক (এক্সচেঞ্জ) ইউকে লিমিটেড। অনিয়মের সময় কর্মরত প্রধান নির্বাহীরা এখন পদোন্নতি পেয়ে দেশে এসে দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মিত বাৎসরিক অডিটে কিছুই ধরা পড়েনি এতদিনে। তবে লন্ডনের সরকার জরিমানা চূড়ান্ত করার পর ঘুম ভেঙেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। তাই তারা প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন সোনালী ব্যাংকের যুক্তরাজ্য (ইউকে) এর বৈদেশিক কার্যক্রম ও এক্সচেঞ্জ হাউজের বিষয়ে বিশদভাবে জানতে। একটি প্রতিনিধি দল আগামী মাসে যুক্তরাজ্যে যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা।
শুভঙ্কর সাহা জানান, যুক্তরাজ্যে সোনালী ব্যাংকের ইউকে শাখাকে জরিমানার বিষয়ে আমরা অবহিত নই। আগামী মাসেই আমাদের একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে ইউকে যাবে। এর বেশি আপাতত বলা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাজ্যের ফিন্যান্সিয়াল কনডাক্ট অথোরিটি (এফসিএ) এ জরিমানা করে। মঙ্গলবার বিবিসির এক খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক ইউকে শাখাকে নতুন গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত গ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া আগামী ছয় মাসের (২৪ সপ্তাহ) জন্য এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। যুক্তরাজ্যের এফসিএ বলেছে, সোনালী ব্যাংক ইউকে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য ব্যাংকটিকে ৩৩ লাখ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু ব্যাংকটি প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স বাংলাদেশে পাঠাতে পারবে।
এফসিএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ব্যাংকটি ব্যর্থ হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য মুদ্রা পাচার ঠেকাতে পদ্ধতি উন্নত করতে সোনালী ব্যাংককে ২০১০ সালে সতর্ক করেছিল এফসিএ। কিন্তু এর পরের চার বছরেও ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে ব্যর্থ হয় সোনালী ব্যাংক ইউকে। এ জন্য এই জরিমানা করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে, বার্মিংহাম ও ব্রাডফার্ডে সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখা রয়েছে। প্রবাসীদের সেবা দিতে ও ঋণপত্রের নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য ২০০১ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে যাত্রা শুরু করে সোনালী ব্যাংক। এতে সরকারের শেয়ার ৫১ ও সোনালী ব্যাংকের ৪৯ শতাংশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন