শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার ছাড়ছেন রোহিঙ্গারা

পুলিশের ওপর সন্ত্রাসী হামলার জেরে নির্বিচার হত্যাকান্ড

প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক

গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সংলগ্ন মিয়ানমারের সীমান্তে দেশটির পুলিশের ওপর এক সন্ত্রাসী হামলায় ৯জন পুলিশ নিহত হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হত্যাকা-ের শিকার হচ্ছেন রোহিঙ্গা মুসলিমরা। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় মানুষের সাথে সংঘর্ষে গতকাল পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, অনেক ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যা করছে।
গতকাল ব্রিটেনের ডেইলি মেইল জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সংবাদদাতারা বলেছেন, তারা কয়েকটি গ্রামে শত শত বাড়ি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখেছেন। সেনাবাহিনী বলেছে, এসব বাড়িতে সন্ত্রাসীরা আগুন দিয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায়ই আগুন দিয়ে রোহিঙ্গাদেরকে বাড়িঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। গত ৬ দিনে লক্ষাধিক মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল। এরা অনেকেই মিয়ানমার সীমান্ত ছেড়ে সমুদ্রে যাত্রা করেছেন।
টেকনাফে শরণার্থী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের চেষ্টা:
কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর ক্যাম্পের অভ্যন্তরে একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের চেষ্টা করে। তবে ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা বিজিবি, পুলিশ, আনসার সদস্যদের দ্রুত হস্তক্ষেপে তাদের সে চেষ্টা প- হয়ে যায়। পরে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্যাম্পের সাতটি ব্লকের প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এতে কোনো ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় এবং ক্যাম্পের পরিস্থিতি যাতে শান্ত থাকে- সে ব্যাপারে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা ঐক্যমত পোষণ করেন।
সরেজমিনে জানা যায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর ক্যাম্পের সাধারণ রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ ও নিহতদের জন্য গায়েবানা জানাজার জন্য এক স্থানে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ক্যাম্পে নিয়োজিত বিজিবি, পুলিশ এবং আনসার সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে শান্ত করে স্ব-স্ব ব্লকে ফেরত পাঠান। পরে বিকেলে বিজিবি-পুলিশসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্যাম্পের রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ক্যাম্প পুলিশ ইনচার্জ আবুল কাসেম জানান, জুমার নামাজ শেষে তিনি মসজিদে বসেই স্লোগানের আওয়াজ পেয়ে দ্রুত এইচ ব্লক মাঠে জমায়েত হওয়া রোহিঙ্গাদের শান্ত করেন। পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দেন তিনি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন