ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমাদের পেছনে কারাগার সামনে মুক্তি। এখন সিদ্ধান্ত আমাদেরকেই নিতে হবে। আমরা কোন পথে যাবো? পিছু হটে কারাগারে যাবো নাকি সামনে এগিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তি অর্জন করবো। গত শনিবার মহানগর দক্ষিণের ৫৮ নং ওয়ার্ডের কর্মী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, আইন শৃঙ্খলার অবনতি, আর্থিক খাতে দুর্নীতি, লুটপাটের মহাযজ্ঞ থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে সরকার সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এদেশে কোন অবস্থাতেই এধরণের ঘটনা কাম্য হতে পারে না।
বিএনপির বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটানোর মিছিলে নেমেছি। এই সরকারকে পতনের মাধ্যমেই মুক্ত হবে গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের বেগম খালেদা জিয়া। সালাহ উদ্দিন আহমেদের শ্যামপুরস্থ লাল মসজিদ এলাকায় অবস্থিত বাসভবনে দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লিটন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন- তানভীর আহমেদ রবিন, মীর হোসেন মীরু প্রমুখ।
এদিকে গতকাল রোববার নয়াপল্টনে শ্রমিক দলের কার্যালয়ে আদাবর থানার কর্মী সভায় আবদুস সালাম বলেন, আওয়ামী বর্বর শাসনে দেশের মানুষ এখন জর্জরিত। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থতা আড়াল করতে বর্তমান অবৈধ সরকার এখন বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, মনগড়া ও উদ্ভট মামলা দায়ের করে তাদেরকে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আমরা এখন এক মগের মুল্লুকে বাস করছি, যেখানে রাজনীতি করার অধিকার কেবল আওয়ামী লীগেরই রয়েছে, অন্য কারো নেই। আওয়ামী সরকারের পতন ছাড়া দেশের মুক্তি আসবে না, জনগণ মুক্তি পাবেনা। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- শ্রমিক দলের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসাইন, মহানগর উত্তরের সভাপতি খন্দকার জুলফিকার মতিন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, আদাবর থানা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুমন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন