বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

রিজার্ভের আকারে আইএমএফ’র আপত্তি!

প্রেসক্রিপশন না শোনায় নাখোশ বহুজাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি রিজার্ভ বাড়িয়ে বলা কোনোভাবেই সম্ভব নয় : ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করেই হিসাব করা হয় : বাংলাদেশ ব্যাংকের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

২০২১ সালের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সুরক্ষা মূল্যায়নের একটি খসড়া প্রতিবেদনে আইএমএফ বিদেশি সম্পদের ভুল শ্রেণীকরণ চিহ্নিত করেছে। এই ভুল শ্রেণীকরণের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের আকার বড় হয়েছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আইএমএফ বলেছে, চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে বাংলাদেশে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ থাকার যে কথা বলা হয়েছিল, তা আসলে ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে বলা হয়েছে। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে রিজার্ভ হবে ৩৯ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ-বহির্ভূত সম্পদ অন্তর্ভুক্ত করে রিজার্ভ ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বাড়িয়ে বলার সুযোগ নেই। এক কর্মকর্তা বলেছেন, আইএমএফ’র প্রেসক্রিপশন বা কথা না শুনে রিজার্ভ থেকে ঋণ দেয়া হয়েছে। আর সে কারণেই এ বহুজাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি নাখোশ হয়ে হঠাৎ করে রিজার্ভের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকতে পারে।

বাংলাদেশে বিদেশি মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ একটুও বাড়িয়ে বলা হয়নি বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করেই সব সময় রিজার্ভের হিসাব করে থাকে বাংলাদেশ। এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম বা ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) অযথাই রিজার্ভ বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে বলে প্রশ্ন তুলে অনাকাঙ্খিত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আইএমএফ’র এই প্রশ্নে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, রিজার্ভ কীভাবে বাড়িয়ে বলা সম্ভব! এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। হঠাৎ আইএমএফ রিজার্ভ নিয়ে কথা বলছে কেন, সেটাই তো বুঝতে পারছি না।

২০২১ সালের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সুরক্ষা মূল্যায়নের একটি খসড়া প্রতিবেদনে আইএমএফ বিদেশি সম্পদের ভুল শ্রেণীকরণ চিহ্নিত করেছে। এই ভুল শ্রেণীকরণের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের আকার বড় হয়েছে বলে দাবি করেছে আইএমএফ।
আইএমএফ বলেছে, চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে বাংলাদেশে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ থাকার যে কথা বলা হয়েছিল, তা আসলে ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে বলা হয়েছে। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে রিজার্ভ হবে ৩৯ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ-বহির্ভূত সম্পদ অন্তর্ভুক্ত করে রিজার্ভ ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রিজার্ভ নিয়ে আইএমএফ’র আপত্তির নেপথ্যে
আইএমএফ’র এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করেই সব সময় রিজার্ভের হিসাব করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্পর্শকাতর এই সূচকটির বিষয়ে সব সময় সঠিক মানদণ্ড অনুসরণ করে হিসাব-নিকাশ করে রিজার্ভের হিসাব করা হয়। এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম বা ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা (কেন্দ্রীয় ব্যাংক) আইএমএফের এই হিসাব মোটেই আমলে নিচ্ছি না। আইএমএফ তাদের কথা বলেছে, বলুক। আমরা তো জানি, আমাদের কোনো ভুল নেই। আমরা যে মেকানিজমে, যে সংজ্ঞার মাধ্যমে যেটাকে রিজার্ভ হিসেবে ট্রিট করি, সে ব্যাখ্যা কিন্তু আইএমএফকে জানানো আছে। আইএমএফ এখন সেটা যাচাই-বাছাই করে দেখুক। যেহেতু তারা প্রশ্ন তুলেছে, তাদের প্রশ্নের ভিত্তি আছে কি না, তারাই এখন দেখুক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, আইএমএফ কিন্তু জানে, বাংলাদেশ ব্যাংক কোন কোন বিষয় রিজার্ভের সঙ্গে দেখায়। তারা এখন পর্যালোচনা করে দেখুক, তারা কী মতামত দেয় দেখি। তখন আবার আমরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব। তবে, আমি আবারও বলছি, রিজার্ভ একটুও বাড়িয়ে বলা হয়নি। এটা বাড়িয়ে বলার কোনো সুযোগ নেই।

রিজার্ভ বাড়িয়ে বলা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডলারের দর ওঠা-নামার ওপর এটা রিজারভেশন (রিজার্ভ) হয়। ডলারের দর বাড়লে বা কমলে সেটা সমন্বয় করা হয়। এটাকে গেইন অর লস বলে। কিন্তু এটা তো মূল রিজার্ভ না। সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পে রিজার্ভ থেকে ঋণ দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ঋণ পেমেন্ট করলে একটা ভ্যালু ডেট থাকে। যারা ঋণ নেয়, তারা সেটা না তোলা পর্যন্ত রিজার্ভ হিসেবে থাকবে। সালেহউদ্দিন বলেন, হঠাৎ আইএমএফ রিজার্ভ নিয়ে কথা বলছে কেন, সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎপর হওয়া দরকার। আগ বাড়িযে এসব কেন বলছে, সেটা খতিয়ে দেখা উচিত। হুট করে একটা স্টেটমেন্ট দিলে তো হবে না।

অন্য দেশকে ঋণ দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা দেশের তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো বিদেশি মুদ্রা মজুত থাকতে হয়। কিন্তু বর্তমানে আমাদের রিজার্ভ দিয়ে ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। শ্রীলঙ্কাকে খুব সামান্য ঋণ দেয়া হয়েছে। যেহেতু রিজার্ভ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত হবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা। বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভের খাত সম্পর্কে আইএমএফকে আরও স্পষ্ট করতে হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, আইএমএফ রিজার্ভ থেকে পায়রা বন্দরসহ বড় অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়ন না করতে অনেক আগে থেকেই বলে আসছিল। তাদের সেই আপত্তি উপেক্ষা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভার অনুমোদন নিয়ে বন্দর এবং বিদ্যুৎ খাতের অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য সরকারের গঠন করা বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে (বিআইডিএফ) রিজার্ভ থেকে ২ বিলিয়ন ডলার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই তহবিল থেকে প্রথম ঋণ দেয়া হয়েছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে। ঋণের পরিমাণ ৫ হাজার ৪১৭ কোটি টাকার সমান, যা দেয়া হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা ইউরোয়। আইএমএফের কথা না শুনে রিজার্ভ থেকে ঋণ দেয়া হচ্ছে, সে কারণেই তারা নাখোশ হয়ে হঠাৎ করে রিজার্ভের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকতে পারে।

রিজার্ভ থেকে যে ঋণ বা বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক নিয়মকানুনের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ডসভার অনুমোদন সাপেক্ষে যথার্থভাবে করা হয়েছে। এসব বিনিয়োগের গ্যারান্টি আছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। আইএমএফও সেটা ভালোভাবে জানে। এরপরও এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর বলে আমি মনে করি।
স্পর্শকাতর বিষয়ে সবকিছু ভালোভাবে জেনেবুঝে বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা। গত শনিবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৭.২ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে বলা হয়েছে: আইএমএফ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএমএফ বলেছে, রিজার্ভের একটি অংশ অর্থায়ন, রেসিডেন্ট ব্যাংকগুলোতে আমানত, নন-ইনভেস্টমেন্ট গ্রেড বন্ডে বিনিয়োগ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক বোর্ড ও এর বিনিয়োগ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। তবু কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব রিজার্ভ-বহির্ভূত সম্পদকে রিজার্ভের পারফরম্যান্স ও ঝুঁকি বিশ্লেষণে অন্তর্ভুক্ত করে চলেছে।

আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে এ রকম অতিরঞ্জন করলে রিজার্ভের পরিমাণ সম্পর্কে ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের দক্ষতা এবং আইটি সক্ষমতা দুটোই সীমিত পর্যায়ের। আইএমএফ সুপারিশ করেছে, বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য ও সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির অবমূল্যায়ন এড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত রিজার্ভ-বহির্ভূত সম্পদ থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে আলাদা রাখা এবং স্বচ্ছতা বজায় রেখে রিপোর্ট করা।

শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বৈদেশিক মুদ্রা সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৫০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের বিপরীতে গ্যারান্টি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে সমপরিমাণ শ্রীলঙ্কান রুপি ডিপোজিট করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ দিলে তার জামিন হিসেবে ওই একই মুদ্রায় লেনদেন করা উচিত। আইএমএফ যেসব রিজার্ভ-বহির্ভূত সম্পদ চিহ্নিত করেছে সেগুলো হলো, স্থানীয় ব্যাংকগুলোকে বিদেশি মুদ্রায় দেয়া ঋণ ৬ হাজার ১৯৮ মিলিয়ন ডলার, স্থানীয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে ডিপোজিট ৬৫১ মিলিয়ন ডলার; আইটিএফসিতে (আইডিবি গ্রুপ) ডিপোজিট ২৮৮ মিলিয়ন ডলার এবং বিনিয়োগ গ্রেডের নিচে ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ ৬০ মিলিয়ন ডলার।
পায়রা বন্দরসহ সরকারের অগ্রাধিকারমূলক অবকাঠামো প্রকল্পের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ২ বিলিয়ন ডলার ব্যবহারের বিষয়েও আপত্তি তুলেছে আইএমএফ। আইএমএফ বলেছে, অপর্যাপ্ত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কারণে বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে প্রায়শই ভুগতে হয় এবং তাৎক্ষণিক ক্ষতির ভার সাধারণত অর্থ প্রদানকারীই বহন করে। ফলে রিজার্ভ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক ক্ষতিরও আশঙ্কা রয়েছে।

প্রতিবেদনে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, পেমেন্ট ব্যালেন্সের চাপ এবং রেমিট্যান্স ও বাণিজ্যের অস্থিতিশীলতার কথা বিবেচনা করে অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়ার আগে রিজার্ভ কোন পর্যায়ে আছে, তা যেন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল সোমবার দিনের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৬ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। গত ২৪ আগস্ট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ১৪৪ কোটি ৮০ লাখ (প্রায় ১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন) ডলার এসডিআর (স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস) ঋণ রিজার্ভে যোগ হওয়ায় এক লাফে রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে।

সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-আগস্ট মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। এর পর থেকে তা কমতে কমতে গত সপ্তাহে প্রায় ৪৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। গত কয়েক দিনে খানিকটা বেড়ে গত রোববার ৪৬ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, নিজস্ব প্রেসক্রিপশন বা শর্তারোপ করে ঋণ প্রদান করে বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলতে বিশ্বব্যাংক ও তার সহযোগী আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) অন্যান্য সংস্থা নানামুখী সংস্কারের চাপ দিচ্ছে। সম্প্রতি তেত্রিশটি সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আইএমএফ ৩ বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণ দিয়ে সহায়তা করার ঘোষণা দেয়। তবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দাতা সংস্থাটির এসব শর্ত মেনে নেননি। এমনকি আইএমএফ’র ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণের ব্যাপারে সরকার আগ্রহী নয় বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
মনির হোসেন মনির ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ১১:০১ এএম says : 0
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করেই সব সময় রিজার্ভের হিসাব করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক।
Total Reply(0)
S Md Mizan ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ১১:০৪ এএম says : 0
আহারে রিজার্ভ!! তোকেও ছাড়লো না!
Total Reply(0)
Md Mijan Jami ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ১১:০৪ এএম says : 0
আশা করি সংশ্লিষ্ট রিজার্ভের বিষয়টি সুন্দরভাবে সমাধান করবেন।
Total Reply(0)
রোদেলা ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ১১:০৬ এএম says : 0
আইএমএফের কথা না শুনে রিজার্ভ থেকে ঋণ দেয়া হচ্ছে, সে কারণেই তারা নাখোশ হয়ে হঠাৎ করে রিজার্ভের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকতে পারে।
Total Reply(0)
ডালিম ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ১১:১৬ এএম says : 0
রিজার্ভ নিয়ে বিতর্ক হওয়াটা কোনভাবেই কাম্য নয়
Total Reply(0)
MOHAMMAD FAZLUL HUQ ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ৫:৪৯ পিএম says : 0
এইটা স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত। তারাই ষড়যন্ত্র করে আই এম এফ কে দিয়ে এইসব আবোল তাবোল বলাচ্ছে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন