সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলায় লক্ষ¥ীপুরের সাবেক এমপি এমএ আউয়ালের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ফরিদ আহমেদ এবং বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ জামিন আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি- মর্মে খারিজ করে দেন।
আউয়ালের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো বশির উল্লাহ। তিনি সাংবাদিকদের জানান, রাজধানীর পল্লবীতে সাহিনুদ্দিনকে (৩৩) কুপিয়ে হত্যার মামলায় সাবেক এমপি এম এ আউয়ালের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি- মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত ২০ মে র্যাব ভৈরবে অভিযান চালিয়ে আউয়ালকে গ্রেফতার করে। তিনি রাজধানীর পল্লবীতে সন্তানের সামনে বাবা সাহিনুদ্দিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার আসামি। গত ১৬ মে পল্লবীতে আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মাশরাফি নামে তার ৭ বছরের শিশু সন্তানের সামনেই কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাহিনুদ্দিনকে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন বিকেলে মাশরাফি তার বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঘুরছিল। এমন সময় একজন তার বাবাকে ফোন করে ৩১ নম্বর রোডে দেখা করার কথা বলে। সেখানে পৌঁছালে মাশরাফিকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে তার বাবার সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ায় ওই ব্যক্তি। এরপর তার সামনেই তার বাবাকে লাথি মেরে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেয় ৬-৭ জন। এরপর তারা তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। বাঁচার জন্য নিহত ওই ব্যক্তি পাশের একটি বাড়ির গ্যারেজে আশ্রয় নিলে সন্ত্রাসীরা সেখানেই ঢুকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. সুমন বেপারি (৩৩) ও মো. রকি তালুকদারকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি মতো এমএ আউয়ালকে গ্রেফতার করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন