স্টাফ রিপোর্টার : দুই মাথা, চার হাত ও দুই পা বিশিষ্ট নবজাতককে (পুত্র) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফেলে রেখে গেছে তার স্বজনরা। শিশুটি বর্তমানে ঢামেকের শিশু সার্জারি বিভাগের ২০৫ নম্বর ওয়ার্ডে আছে।
ঢামেকের উপ-পরিচালক খাজা আবদুল গফুর জানান, রাজধানীর কোনও একটি বেসরকারি হাসপাতালে শিশুটির জন্ম হয়। চিকিৎসার জন্য শুক্রবার রাত ১২টার দিকে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। এরপর ২০৫ নম্বর ওয়ার্ডে শিশুটিকে ফেলে তারা চলে যায়। ওয়ার্ডের অন্য রোগীরা প্রথম বুঝতে না পারলেও পরে বিষয়টি বুঝতে পারে। এরপর বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তারা জানায়। তিনি আরও জানান, শিশুটি সুস্থ আছে। এখানেই তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হবে। আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই বিষয়টি বোঝা যাবে তার শারীরিক অবস্থা কেমন।
দুই মাথার ছেলে শিশুটির চারটি হাত থাকলেও তার পা মাত্র দুটি। শিশুটিকে ভর্তি করার সময় অভিভাবকরা তাদের নাম উল্লেখ না করায়, শিশুর পরিচয় অজ্ঞাত হিসেবে ভর্তি রোগীর তালিকায় লেখা রয়েছে। শিশুটি কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেছে, সে সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি।
ঢামেক হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহনূর ইসলাম জানান, শিশুটি স্বাভাবিক মানুষের মতোই। তবে ব্যতিক্রম হলো তার ২টি মাথা, ৪টি হাত। এ ছাড়া, তার ২টি পা, একটি পায়ুপথ ও একটি পুরুষাঙ্গ রয়েছে। তাকে এখন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, শিশুটি এখনো মল ত্যাগ করেনি। তবে সে অনবরত প্রস্রাব করছে। কারণ, তাকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
চাটখিলে দুই মাথা শিশুর জন্ম লাভ
চাটখিল উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে চাটখিলের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে দুই মাথা বিশিষ্ট একটি শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। শিশুটির জন্ম দেন রামগঞ্জ উপজেলার ৮নং করপাড়া ইউনিয়নের ভাটিয়ালপুর গ্রামের মোঃ ফরিদ উদ্দীনের স্ত্রী মারজাহান বেগম।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে প্রসব বেদনা নিয়ে প্রসূতি মারজাহান বেগম চাটখিলের এহ্ছানিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়। ভর্তির পর রাত ৮ টায় সিজারিয়ান অপারেশনের সিদ্ধান্ত হলে ডাঃ মন্তাজুল মান্নানের নেতৃত্বে সফলভাবে অপারেশন শেষ হলে দুই মাথা বিশিষ্ট এক পুত্র সন্তান জন্ম লাভ করে। পরে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে ডাঃ মন্তাজুল মান্নানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মা ও ছেলে দু’জনই সুস্থ আছেন। রাতেই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন