বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ফেরিডুবি নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ সামাজিক মাধ্যমে

মেয়াদোত্তীর্ণ ফেরি নিয়ে ক্ষোভ

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০২১, ১০:১৩ পিএম

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় রো রো ফেরি আমানত শাহর তীরে এসে যানবাহনসহ ডুবে যাওয়া নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। মেয়াদোত্তীর্ণ ৪০ বছরের পুরনো ফেরি চালানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।

নদীর কিনারে ভিড়েই ফেরি পদ্মা নদীতে ডুবে গেছে বুধবার এ খবর ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি। ৮০৬.৬০ টন ওজন এবং ১০.২৫ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলা শাহ আমানত নামের রো রো ফেরি সাধারণ ঢেউয়ে পানিতে ডুবে যাবে এটা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। কারণ ঝড়ে লঞ্চ ডোবে কিন্তু ফেরি ডোবে এমন ঘটনা নেই বললেই চলে।


ফেসবুকে এনিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘তীরে এসে ফেরি ডুবলো আমরা যারা দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নিয়মিত যাত্রী তারা জানি শাহ আমানত রো রো ফেরি এই রুটের সবচেয়ে বড় ফেরিগুলোর মধ্যে একটি। যাতায়াতের সময় প্রবল স্রোতে ও ঢেউ এর দোলায় অনেক সময়ই প্রাণ কেঁপে উঠেছে। তবুও আশ্বাস পেয়েছি একটি মিথ থেকে, ফেরি কখনো ডোবে না। তাই বর্ষাকালে যখন নদীতে প্রবল স্রোত ও ঢেউ থাকতো, দীর্ঘ সময় লাগলেও লঞ্চের এড়িয়ে সব সময় ফেরি পারাপারকে প্রাধান্য দিয়েছি।

শাহ আমানত ফেরি কেন ডুবে গেল, তার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি, কখনো জানা যাবে কিনা সন্দেহ। শাহ আমানত ফেরির বয়স কত? যেদিন থেকে ঢাকায় যাতায়াত শুরু করেছি সেদিন থেকেই এই শাহ আমানত ফেরি পারাপার হতে দেখেছি।

খোঁজ নিয়ে জানলাম ১৯৮২ সালে ডেনমার্ক থেকে ফেরিটি আমদানি করা হয়। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী একটি ফেরি সার্ভিস ইয়ার থাকে ২৫ বছর। ২০০৮-২০০৯ সালের দিকে শাহ আমানত ফেরিটিতে বড় ধরনের সংস্কার কাজ করে সার্ভিস ইয়ার বাড়ানো হয়। এরপর থেকে ছোটখাটো সংস্কারের মাধ্যমে ফেরিটি কোনক্রমে টেনেটুনে চলছিল। যাত্রীদের অভিযোগ, তলা ভেঙে পানি উঠে যাওয়ার কারণে ফেরি ডুবে গেছে। ফেরির বয়স ও যাত্রীদের অভিযোগ একসাথে করে বলা যায়, ফেরিটি পরিবহন পারাপারের জন্য পুরোপুরি আনফিট ছিল। ফলে বাংলায় যে প্রবাদ রয়েছে, 'তীরে এসে তরী ডোবা' শাহ আমানত ফেরিটি তা বাস্তবে করে দেখালো।’’

মোহাম্মাদ আবুল কাশেম লিখেছেন, ‘‘ফেরী গুলোর যেই অবস্থা, দেখলেই ভয় লাগে কখনো কোন দুর্ঘটনার হয়। দেখার মত কেউ নেই মনে হচ্ছে। হঠাৎ দুর্ঘটনায় হয়ে গেল আল্লাহতালা যেন সবাইকে হেফাজতে রাখে।’’

নাজমুল হাসান লিখেছেন, ‘‘এই দ্বায় ভার কে নিবে ভোটারবিহীন সরকারের কাছে মানুষের জান মাল সহ কোন কিছুরই দ্বায়ভার থাকে না, কেননা যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রত্যেকটি যানবাহনের মেরামত সহ বছরের তদারকির দায়িত্বের অভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এরই নাম ডিজিটাল বাংলাদেশ।’’


কাজী সোলেমান আহমেদ লিখেছেন, ‘‘আমাদের দেশে আমরা মানুষ হিসেবে কোন মূল্য নেই। মেয়াদোত্তীর্ণ ফেরি পরিচালনা করে এসব ক্ষয়ক্ষতি ও নির্দোষ মানুষের প্রাণহানির দায়ভার কে নিবে?’’

হাসানুর মেহাম্মাদ লিখেছেন, ‘‘অবৈধ সরকারের কাছে বলে কোন লাভ নাই, আমাদের দেশে আমরা মানুষ হিসেবে কোন মূল্য নেই। মেয়াদোত্তীর্ণ ফেরি পরিচালনা করে এসব ক্ষয়ক্ষতি ও নির্দোষ মানুষের প্রাণহানির দায়ভার কে নিবে?’’

সুমন সাহিন লিখেছেন, ‘‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে মাঝ নদীতে দুর্ঘটনাটি ঘটে নাই। দেশের সরকার যেমন লক্করঝক্কর ভাবে ক্ষমতায় এসে লক্করঝক্কর ভাবে দেশ চালাইতাছে, তেমনি দেশে সব প্রতিষ্ঠান গুলো লক্করঝক্কর ভাবে চলতেছে।’’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন