শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আবাসিক ভবন প্রস্তাবিত ড্যাপে হলে ‘খরচ বাড়বে দুই গুণ’

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

প্রস্তাবিত ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) কারণে বিল্ডিং এর আয়তন কমে যাবে। এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে বেশি দামে কেনা জমির মালিকরা। একই সঙ্গে বড় অঙ্কের টাকা গুনে ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে হবে ক্রেতাদের। বেশি দামে কেনা জমিতে সর্বোচ্চ আটতলা আবাসিক ভবন নির্মাণ হলে ফ্ল্যাটের নির্মাণ খরচ অর্ধেক বেড়ে যাবে। এমনটিই দাবি আবাসন ব্যবসায়ীদের। তাই ড্যাপ অনুমোদনের আগে পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, বিশেষজ্ঞ পেশাজীবী ও স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বিষয়টি চূড়ান্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। গতকাল রাজধানীতে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। এতে উপস্থিত ছিলেন- রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল, প্রথম সহ-সভাপতি কামাল মাহমুদ, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল, সহ-সভাপতি লায়ন শরীফ আলী খান, সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা, সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তফা কামাল মহিউদ্দীন প্রমুখ। প্রস্তাবিত ড্যাপে আবাসিক ভবনের সর্বোচ্চ উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়েছে- উত্তরায় ৭-৮ তলা, গুলশান, বনানী ও বারিধারায় ৬-৮ তলা, খিলক্ষেত, কুড়িল ও নিকুঞ্জ এলাকায় ছয়তলা, মিরপুরে ৪-৭ তলা, মোহাম্মদপুর ও লালমাটিয়ায় ৫-৮ তলা এবং পুরান ঢাকায় ৪-৬ তলা।
রিহ্যাব জানায়, উত্তরা, গুলশান, বনানী ও বারিধারা এবং খিলক্ষেত, কুড়িল ও নিকুঞ্জ, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও লালমাটিয়া এবং পুরান ঢাকা এলাকায় জমির দাম অনেক বেশি। অতি দামে কেনা জমিতে সর্বোচ্চ আটতলা আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হলে ফ্ল্যাটের নির্মাণ খরচ প্রায় অর্ধেক বেড়ে যাবে। যার প্রভাব পড়বে ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টের দামে। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন সাধারণ ক্রেতা ও আবাসন ব্যবসায়ীরা।
রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, ভবনের উচ্চতার বিষয়ে ড্যাপের প্রস্তাবগুলো সম্পূর্ণ অবাস্তব। এর মাধ্যমে সমস্যা আরও ঘনভূত হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ক্রেতা সাধারণ। সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন জমির মালিক। বর্তমানে ঢাকা শহরে জমির দাম বেশি। এই উচ্চমূল্যে কেনা জমিতে সর্বোচ্চ আটতলা আবাসিক ভবন নির্মাণ হলে ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টের দাম দুইগুন হয়ে যাবে। রিহ্যাব সহ-সভাপতি কামাল মাহমুদ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বর্তমান সরকার উন্নয়নের রোল মডেল, কোন গণঅসন্তোষ সৃষ্টিকারী, অবাস্তব বিধি-বিধান প্রণয়নে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করবে না। আমরা বিশ্বাস করি ড্যাপ ২০১৬-২০৩৫ ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০২১ চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, বিশেষজ্ঞ পেশাজীবী ও স্টেকহোল্ডারদের সুপারিশের মাধ্যমে চূরান্ত হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন