কর্পোরেট রিপোর্ট : অর্থনীতির প্রায় সব সূচকে অগ্রগতি হলেও গ্যাস বিদ্যুৎ সংকটে কৃষি খাতসহ শিল্প খাতে অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের (২০১৫-১৬) দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, (এমসিসিআই) এমনটি জানিয়েছে। এমসিসিআইর প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবৃদ্ধির গতিও এগোচ্ছে, মূল্যস্ফীতির হারও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে, মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে। তারপরও দেশের অর্থনৈতিক যে সম্ভাবনা রয়েছে, অগ্রগতি তার চেয়ে অনেক কম হয়েছে। এমসিসিআই মনে করে অর্থনীতিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে পর্যাপ্ত অবকাঠামো, গ্যাস-বিদ্যুৎ, নীতি সহায়তা, দক্ষ মানব সম্পদ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ প্রয়োজন। গুরুত্বপূর্ণ এ খাতগুলোর বাধা দূর করতে সরকারকে আরও সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এমসিসিআই। প্রতিষ্ঠানটি বলে চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধিকে ৭ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো। বর্তমান রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিস্থিতি ধরে রাখাও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে আমাদের বিনিয়োগ জিডিপির ৩৫ ভাগে উন্নীত করতে হবে, যেটি এখনো লক্ষ্যমাত্রার অনেক নিচে রয়েছে। ব্যবসার উন্নয়নের পরিবেশ উন্নত ও টেকসই করতে হবে। ব্যবসার প্রতিযোগিতা খরচ কমাতে সহজে ব্যাংক ঋণ সুবিধা এবং কম সুদে ঋণ চান ব্যবসায়ীরা। এ দশকের মধ্যেই দেশকে মধ্য-আয়ের মর্যাদায় উন্নীত করতে সরকারকে এই পূর্বশর্তগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে বলে উল্লেখ করেছে এমসিসিআই। জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়কালে কৃষি খাতের অবস্থানও ভালো রয়েছে। একে টেকসই করার জন্য এ খাতের সরকারের দেয়া সহায়তা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। অন্যদিকে সরকারি বেতন বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর ব্যয় নির্বাহে সরকারের আয় বৃদ্ধির চাপ থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন