শমাসুল হক শারেক, কক্সবাজার অফিস : চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরুটা ভালভাবেই শুরু হয়েছে। মৌসুমের শেষ পর্যন্ত ভাল যাবে বলেই মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। চলতি মাস থেকে পর্যটন মৌসুম ধরা হলেও সাধারাণত আগে কক্সবাজারে পর্যটক আসতো নভেম্বর থেকেই। এবছর ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা আগে হয়ে যাওয়ায় পর্যটন ব্যসায়ীরা অতিরিক্ত পর্যটক পেয়েছেন। এছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় পুজায়ও উল্লেখযোগ্য পর্যটক এসেছে কক্সবাজারে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন গত জুমাবার ও শনিবারেও দেখাগেছে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের বিশাল সমাগম।
গত দু’দিনে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখাগেছে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা ও বয়সের হাজার হাজার পর্যটক সৈকত ভারী করে তুলেছে। শরতের শুরুতে এসব পর্যটক বিস্তীর্ণ সৈকত ছাড়াও হিমছড়ি, ইনানী, ডুলাহাজারা সাফারী পার্ক মাতিয়ে তুলেছেন। সাগর উত্তাল থাকায় এবং পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারে সহিংসতার কারণে টেকনাফ- সেন্টমার্টিন চলাচল অনিয়মিত হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন যেতে পারছে না।
হোটেল মোটেল জোনের বিভিন্ন হোটেলে খবর নিয়ে জানাগেছে, ঈদ থেকেই তাদের পর্যটন ব্যবসা ভাল যাচ্ছে। কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়কের প্রায় কাজ শেষ হওয়ার পথে। আগামী মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সড়কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা রয়েছে। এলক্ষ্যে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে সেনাবাহিনী বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছে। কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিমি এই সড়ক উন্মোক্ত হলে সত্যিই কক্সবাজার হবে বিশে^র শ্রেষ্ঠতম পর্যটন এলাকা। মহান আল্লাহ তায়ালার অপার সৃষ্টি বিশাল সাগর আর পাহাড় শৃঙ্গের মাঝখান দিয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হবে এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উপর সোনায় সোহাগা।
বিশেষজ্ঞদের মতে কক্সবাজারের পর্যটনকে লালন করে গোটা বাংলাদেশকেই বিশে^র দরবারে নতুন করে উপস্থাপন করা যেতে পারে। কক্সবাজারবাসী মনে করেন সম্ভবত একারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার উন্নয়নে বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিমান বন্দর এবং কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণ কাজ ত্বরান্বিত হওয়া দরকার বলে মনে করেন তারা। এলক্ষ্যে কক্সাবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করেছে বলে জানাগেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন