শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

অর্থপাচার মামলা হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই

সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

বর্তমান অবস্থায় অর্থপাচার একটি বিশেষ ধরণের অপরাধ। এ অপরাধে দায়ের করা মামলা হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। এই মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।
গতকাল মঙ্গলবার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারের জামিন শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ মন্তব্য করেন।

পরে আদালত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার রাজধানীর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারকে পৃথক চার মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিল করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে চার মামলা এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট খুরশিদ আলম খান। সরকারপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। জয় গোপালের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

এডভোকেট খুরশিদ আলম খান জানান, অর্থপাচার মামলা নিয়ে আপিল বিভাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। আদালত বলেছেন, বর্তমান অবস্থায় অর্থপাচার একটি বিশেষ ধরণের অপরাধ। এ অপরাধে দায়ের করা মামলা হালকাভাবে নেয়ার কোনো স্কোপ নেই।
আদালতের এ পর্যবেক্ষণ মানি লন্ডারিং মামলায় অন্যান্য আসামিদের জামিন শুনানির সময় আমরা হাইকোর্টে উপস্থাপন করবো।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার রাজধানীর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকার পৃথক চার মামলায় জামিন দেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। পরে জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে সরকারপক্ষ। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গেন্ডারিয়ায় এনু-রূপনের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব। তাদের বাসায় টয়লেটে স্বর্ণের কমোড পাওয়া যায়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়। এরপর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনুর বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, ৮ কেজি স্বর্ণালঙ্কার ও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র‌্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গতবছর ১৩ জানুয়ারি এনু ও রূপনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে জয় গোপাল সরকারের নাম উঠে আসায় তাকে গত বছর ১৪ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। তাকে ২০১৯ সালে গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর ও ওয়ারী থানায় করা পৃথক চার মামলা গ্রেফতার দেখানো হয়। গেন্ডারিয়া থানায় ওইবছরের ২৫ মে একটি, সূত্রাপুর থানায় ২টি এবং ওয়ারী থানায় ২৫ সেপ্টেম্বর একটি মামলা করা হয়।

গতবছর ২২ জুলাই এসব মামলায় চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। গেন্ডারিয়া থানার মামলায় ১৬ জন, সূত্রাপুরের দু’টি মামলায় ১৫ ও ১০ জন করে এবং ওয়ারী থানার মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, জয় গোপাল সরকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন ফুটবলার ছিলেন। অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হয়ে এনু-রূপনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন এবং ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনায় প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন