ঝালকাঠিতে পারভীন আক্তার নামের একজন নারীকে শ্বাসরোধের মাধ্যমে হত্যা করে খালে ফেলে দেন তার স্বামী তানজিল হাওলাদার। ঘটনার ২০ দিন পর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তানজীল হাওলাদারকে গত মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। স্ত্রীকে হত্যার কথা সিআইডি’র কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন তিনি।
মুক্তা ধর ঘটনার বিবরণে জানান, ঝালকাঠির তরুণ তানজিল হাওলাদার ঢাকার উত্তরায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। মিরপুরের তরুণী পারভীন আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় ও সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন দু’জনে। কিন্তু তানজিলের পরিবার পারভীনকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে পারেনি।
করোনায় তানজিল চাকরি হারান। এরপর স্ত্রীকে নিয়ে ঝালকাঠি চলে যান। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির কেউ পারভীনকে মেনে নেয়নি। এ কারণে সবাই তাকে নির্যাতন করতো। শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে মিরপুরে মায়ের বাসায় ফিরে আসেন পারভীন আক্তার। ঢাকায় এসে তিনি জানতে পারেন, তানজিল আরেকটি বিয়ে করবেন গ্রামে। তাই গত ৯ অক্টোবর আবারও ঝালকাঠি যান তিনি। কিন্তু তাকে শ্বশুরবাড়িতে উঠতে দেয়নি তানজিলের পরিবার। এরপর বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় নেন পারভীন।
গত ১৩ অক্টোবর রাতে পারভীনকে ফোন করে বাইরে নিয়ে আসেন তানজিল। কথা বলতে বলতে তাদের মধ্যে ঝগড়া বেঁধে যায়। একপর্যায়ে পারভীনকে গলা টিপে হত্যা করে তানজিল। তারপর পাশের একটি খালে তার লাশ ফেলে দেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন