ইনকিলাব ডেস্ক
ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা মামলায় জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। গত রাত ১০টা ৩০ মিনিটে খুলনা জেলা কারাগারে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়। জেল সুপার কামরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, আরিফের লাশ রাতেই শ্বশুর বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে একই মামলায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ দেশের বিভিন্ন কারাগারে শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাইসহ ছয় জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর হয়। আরিফের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে এই মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত সব আসামির ফাঁসি কার্যকর হলো।
পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠির দুই বিচারক নিহত হন। এই হত্যা মামলায় ২০০৬ সালের ২৯ মে আরিফসহ সাতজনকে মৃত্যুদ-ের রায় দেন ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ। ৭ জনের মধ্যে ৬ জনের ফাঁসি উচ্চ আদালতে বহাল থাকায় ইতোপূর্বে কার্যকর হয়েছে। এরা হলেন- জেএমবির শীর্ষ নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুক, শায়খ আবদুর রহমান, তার ভাই আতাউর রহমান সানি ও জামাতা আবদুল আউয়াল।
তবে সে সময় আরিফ পলাতক ছিলেন। পরে ২০০৭ সালের ১০ জুলাই আরিফ ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার হন। ওই বছর জুলাই মাসে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি। শুনানি শেষে হাইকোর্ট তাঁর মৃত্যুদ- বহাল রাখেন। পরে আপিল বিভাগেও একই সাজা বহাল থাকে। আপিল বিভাগের দেওয়া মৃত্যুদ- বহালের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আরিফ যে আবেদন করেছিলেন, গত ২৮ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ তা খারিজ করেন।
সর্বশেষ প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদনও নাকচ হওয়ায় গতরাতে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন