সিলেট সিটি করপোরেশনের নিজস্ব আয় বাড়ানোর টার্গেটে নেমেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এজন্য পরিকল্পনা চলছে নগরীর ২০ হাজারেরও বেশি বাসা-বাড়িকে গৃহকরের (হোল্ডিং ট্যাক্স) আওতায় আনার। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সিসিকের আয় বছরে বাড়বে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
সিসিক সূত্র বলছে, উন্নয়নের জন্য তাকিয়ে থাকতে হয় সরকারি বরাদ্দে। সিসিকের নিজস্ব আয় অপ্রতুল। প্রতিবছর রাজস্ব খাত থেকে যে আয় আসে, তা থেকে খুব বেশি ব্যয়ের সুযোগ নেই উন্নয়ন কাজে।
এদিকে, সিসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে গণবিরোধী বলে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ। গত মঙ্গলবার হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে দলটি। বাসদ সিলেট জেলা শাখার সমন্বয়ক আবু জাফরের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তারা বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও গণবিরোধী।
সিসিক সূত্র জানায়, নতুন জরিপ অনুসারে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় বাসা-বাড়ির সংখ্যা ৭৫ হাজার ৪৩০টি। ২০০৬-০৭ অর্থবছরের জরিপে বাসা-বাড়ির সংখ্যা ছিল ৫৪ হাজার ৮০০টি। এসব বাসাবাড়ি থেকে নিয়মিত কিংবা অনিয়মিতভাবে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করছে সিসিক। এবার এগুলোর সঙ্গে নতুন বাসা-বাড়ি (হোল্ডিং) যুক্ত হবে ২০ হাজার ৬৩০টি। এই নতুন হোল্ডিং থেকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের প্রজ্ঞাপন অনুসারে আদর্শ কর তফসিলে গৃহকর ৭ শতাংশ, করজারভেন্সি ৭ শতাংশ, আলো ও পানি কর ৩ শতাংশ এবং স্বাস্থ্য কর ৮ শতাংশ হারে মোট ২৮ শতাংশ কর দেয়ার কথা। তবে সিলেট সিটি করপোরেশন নাগরিকদের উপর চাপ কমাতে ৮ শতাংশ কর বাদ দিয়ে ২০ শতাংশ হারে কর আদায় করছে বলে জানিয়েছেন এর প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান খান।
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, নতুন জরিপে বাণিজ্যিক গৃহের জন্য প্রতি ফুটে নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ টাকা কর। অবাণিজ্যিক গৃহের জন্য প্রতি ফুটে ৫ টাকা। এছাড়া টিনশেডের গৃহের জন্য ফুট প্রতি ৩ টাকা। এটা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের প্রজ্ঞাপন অনুসারে নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান মেয়র।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন