পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৬৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে স্থানীয় একজন মেয়রও আছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার হামলার ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় গতকাল বৃহস্পতিবার।
হামলাটি মূলত নাইজারের একটি সীমান্ত অঞ্চলে চালানো হয়েছে। নাইজারের দুই প্রতিবেশী দেশ মালি ও বুরকিনা ফাসোর সীমান্ত এলাকার এই জায়গাটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং আল কায়েদাপন্থী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার নাইজারের প্রতিবেশী দেশ মালির সীমান্তবর্তী পশ্চিমাঞ্চলীয় তিলাবেরি অঞ্চলে বানিবাঙ্গোউ শহরের মেয়রের নেতৃত্বে ভ্রমণরত একটি প্রতিনিধি দলের ওপর হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। হামলাস্থলটি ওই শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার নাইজারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলকাছে আলহাদা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানান, হামলার পর ১৫ জন জীবিত ফিরে আসতে পেরেছেন। হামলার পর সেখানে তল্লাশি অভিযান চলছে।
স্থানীয় একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, হামলাটি হয়েছে তিলাবেরি অঞ্চলের আদাব-দাব গ্রামে চালানো হয়েছে। মোটরবাইকে করে এসে বন্দুকধারীরা হামলা চালায়।
অন্য আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, বন্দুকধারীদের এই হামলার লক্ষ্য ছিল ভিজিল্যান্স কমিটিস নামে স্থানীয় একটি প্রতিরক্ষা বাহিনী। হামলার পর বন্দুকধারীরা মালির দিকে চলে যায়।
রাজনৈতিক সহিংসতা পর্যবেক্ষক সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্টের (এসিএলইডি) পক্ষ থেকে বলা হয়, চলতি বছর সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দক্ষিণ-পশ্চিম নাইজারের সীমান্ত অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালিয়ে ৫৩০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। যা গত বছরের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। সূত্র : আল জাজিরা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন