৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের ঢাকা ত্যাগ
শামসুল ইসলাম : ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে পারলে জনশক্তি রফতানির অন্যতম দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বার উন্মুক্ত হবে। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশী বিভিন্ন সেক্টরে কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিটেন্স আয় করছে। দেশটিতে প্রচুর বাংলাদেশী কর্মীর চাহিদা রয়েছে। দেশটি এখন বাংলাদেশ থেকে পুরুষ কর্মীর পরিবর্তে শুধু মহিলা গৃহকর্মী নিচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে। কর্মী প্রেরণে কড়া শর্তকতা অবলম্বন এবং যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলে তেল সমৃদ্ধ এ দেশটি’র শ্রমবাজার পুনরুদ্ধার সম্ভব। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার চালু হলে জনশক্তি রফতানিতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হবে। অভিজ্ঞ মহল এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিনিধি দল তিন দিনের সফর শেষে গতকাল রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে ঢাকাত্যাগ করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রম মন্ত্রণালয়ের কৌশল ও নীতি সংক্রান্ত এ্যাসিস্টেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি ড. ওমর আব্দুর রহমান আল-নাঈমী’র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রম মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইস্কান্দর হান্না, আহমেদ ইউসুফ আহমেদ, সায়্যেদ আহমেদ মোহাম্মদ, তৌফিক জিব মাহমুদ, ওয়াফা আলী সালেহ, মরিয়ম আব্দুর রহমান আল হামাদী ও আলেক্স জাদামহী। প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বিএমইটি’র বিদেশ গমনেচ্ছুদের ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়া সরেজমিনে পরিদর্শন করে গতকাল সোমবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র সাথে তার দপ্তরে সাক্ষাতকালে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি আমিরাতের প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ৭০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতি মাসে বিপুল সংখ্যক দক্ষ কর্মী তৈরি হচ্ছে। প্রবাসীমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে অধিকহারে পুরুষ কর্মী নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে দেশটির সরকারের কাছে অনুরোধ জানান। প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দ এসময়ে বলেন, তারা দেশে ফিরে গিয়ে দেশটি’র সরকারের কাছে বাংলাদেশের দক্ষ কর্মী তৈরি ও কর্মী প্রেরণের প্রক্রিয়ার তথ্যাদি উপস্থাপন করবেন। এসময়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম শামছুন নাহার, বিএমইটি’র মহাপরিচালক মোঃ সেলিম রেজা ও মন্ত্রীর পিএস মোঃ মুহসিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রতিনিধি দল বিএমইটি’র দ্বিতীয় তলায় বিদেশ গমনেচ্ছুদের ছাত্রপত্র ইস্যুর প্রক্রিয়া সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এসময়ে বিএমইটি’র মহাপরিচালক মোঃ সেলিম রেজা প্রতিনিধি দলের কাছে ছাড়পত্র ইস্যুর ক্ষুটি-নাটি বিষয়সমূহ তুলে ধরেন। প্রতিনিধি দলে বিএমইটি’র কার্যক্রম স্ব-চক্ষে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন