বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবিতে যশোরে মানববন্ধন হয়েছে। সোমবার (৮ নাভেম্বর) যশোর জেলা অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের ব্যানারে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। ঘন্টাব্যাপি মানবন্ধনে ননএমপিওভুক্ত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা ছাড়াও দাবি বাস্তবায়নের সংহতি প্রকাশ করে যশোরে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সারাদেশের বেসরকারি কলেজসমূহে পাঠদানে নিয়োজিত ৫ হাজার ৫’শ জন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত না করায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন শিক্ষকরা। দীর্ঘদিন ধরে জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত না করায় একদিকে যেমন এসকল শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারছে না, অন্যদিকে প্যাটার্ন বহির্ভূত শিক্ষক হিসেবে কলেজ থেকে পূর্ণস্কেলে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও ইতিপূর্বে কলেজভেদে ২০০০-১৪০০০ টাকার বেশি কখনই দেওয়া হয়নি। করোনা মহামারী প্রাদূর্ভাবের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অধিকাংশ কলেজগুলোতে এসকল শিক্ষকদের বেতন বন্ধ রয়েছে। ফলে, উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত এ সকল শিক্ষক বর্তমানে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অথচ একই বিশ^বিদ্যালয়ভুক্ত একই সিলেবাসে পাঠদান করিয়ে অনেক শিক্ষক ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন। লক্ষণীয় যে, একই প্রতিষ্ঠানে ইন্টারমিডিয়েট ও ডিগ্রি কোর্সের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হয়েছেন, আবার কামিল শিক্ষকরাও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। আমাদের যৌক্তিক দাবী আদায়ের জন্য দীর্ঘ ২৯বছর ধরে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও পত্রিকার মাধ্যমে আমাদের দাবি জাানিয়ে আসছি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কেউ আমাদের দাবি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেননি। সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি তরিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, উপ শহর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহীন ইকবাল, জেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বুলবুল,প্রভাষক মো. শরিফুল ইসলাম, প্রভাষক ইকবাল হোসেন, প্রভাষক শরিফুল ইসলাম। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন