তারেক সালমান : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলন সফল ও বর্ণিল আনন্দময় করার লক্ষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে দিনরাত বিরামহীনভাবে কাজ করছেন। শেষ মুহূর্তে জোরালো প্রস্তুতির মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ। সম্মেলনকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। উৎসবমুখর পরিবেশ আর নেতা-কর্মীদের কাজের ব্যস্ততার মধ্যে রাজধানীতে বইছে সাজ সাজ রব।
নতুন সাজে বর্ণিল আয়োজনে ইতিমধ্যেই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়, আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়সহ আশপাশের রাজপথে জ্বলছে লাল নীল বেগুনি হলুদসহ নানা রঙ-বেরঙের আলো। সম্মেলনের এখনও চারদিন বাকি থাকলেও এরই মধ্যে পুরো রাজধানীকে সাজানো হয়েছে আলোর ঝলকানিতে। সন্ধ্যার ওই আলোকচ্ছটা জানান দিচ্ছে সম্মেলনে পুরো রাজধানী হবে উৎসবের নগরী। ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’ স্লোগান সামনে রেখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নৌকার আদলে সম্মেলনের মঞ্চ তৈরিরও কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী ২২ অক্টোবর সকাল ৯টায় এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।
সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইতোমধ্যে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়কদ্বীপগুলোতে করা হয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জা। এছাড়া রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কের দুই পাশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ঝুলানো হয়েছে।
এবারের সম্মেলনে স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার। এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার।’ আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের জাতীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত সবগুলো উপ-কমিটি দলের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন সফল করতে ধারাবাহিকভাবে প্রস্তুতি সভা করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের আসন্ন ২০তম জাতীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আলোকসজ্জার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে বিশাল আকারের নৌকার আদলে মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
জানা গেছে, সম্মেলন সামনে রেখে গঠিত ১০টি উপ-কমিটির প্রস্তুতি কার্যক্রম আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে পরিচালিত হচ্ছে। আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবরের সম্মেলনের ভেনুকে দৃষ্টিনন্দন করতে গোটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নানা সাজে সজ্জিত করা হচ্ছে। সম্মেলনের মূল মঞ্চ হচ্ছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা আকৃতির। মঞ্চের উচ্চতা মাটি থেকে ২৫ ফুট। মঞ্চের পেছনে ৩৫ ফুট উচ্চতার এলইডি পর্দার ব্যবস্থা থাকছে। যেখান থেকে সম্মেলনে আগত কাউন্সিলরসহ অতিথিরা সম্মেলনের নানা প্রদর্শনী উপভোগ করবেন। মঞ্চের সামনের দিকে থাকছে স্বচ্ছ কাচের খুঁটিবিহীন একটি গ্যালারি। যার আকার হবে ২৩০ ফুট বাই ১২৫ ফুট। সেখানে সাত হাজার অতিথির আসন থাকবে। ৪০ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন প্যান্ডেল তৈরি করা হবে। সম্মেলনে আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথি, ছয় হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর, অর্ধ লক্ষাধিক প্রতিনিধিসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধন অধিবেশন শেষে দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ২৩ অক্টোবর সারা দেশ থেকে আসা কাউন্সিলরদের নিয়ে পাশের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে মূল কাউন্সিল অধিবেশন। গুরুত্বপূর্ণ এ অধিবেশনে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে।
সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এবং অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাসিম জানান, সম্মেলনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে সম্মেলনে আগত অতিথিদের দাওয়াত দেয়া শেষ হয়েছে। ১৪টি দেশের অতিথিরা সম্মেলনে যোগ দেবেন বলেও জানান তিনি।
সাজ-সজ্জা উপ-কমিটির নেতারা জানান, সম্মেলনে পুরো ঢাকা শহর এবং দেশের সব জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে আলোকসজ্জা করা হচ্ছে। আসন্ন সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সাজবে পুরো দেশ।
ঢাকা শহরের আলোকসজ্জার দায়িত্ব পেয়েছে ‘সেটাফ মাস্টার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ইকবাল জানান, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আলোকসজ্জার কাজ প্রায় শেষ। সম্মেলন উপলক্ষে ১৯ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত মূল আলোকসজ্জা করা হবে ।
সম্মেলনের পুরো দুই দিন রাজধানীর প্রতিটি প্রবেশদ্বার এবং সম্মেলন স্থলের চতুর্দিকে একাধিক মেডিক্যাল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হবে। সম্মেলনের প্রবেশপথগুলোতে দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে। আগত অতিথিদের জন্য চটের ব্যাগ ও ক্যাপ তৈরি করা হয়েছে। ব্যাগের একপাশে লেখা আছে সম্মেলনের স্লোগান ও অন্যপাশে রয়েছে আল্লাহ সর্বশক্তিমান, জয়বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু। ২০তম জাতীয় সম্মেলন ২০১৬, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই ব্যাগে থাকবে সম্মেলন উপলক্ষে প্রকাশিত বিভিন্ন বই-পুস্তক, পানির বোতল এবং ডায়াবেটিস রোগীদের কথা বিবেচনা করে দুটি চকলেট।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত সাজ-সজ্জা উপকমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গির কবির নানক বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে দেশের মানুষের আকাক্সক্ষা রয়েছে, সম্মেলন যাতে উৎসবমুখর হয়, সেজন্য সারাদেশে আলোকসজ্জা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করতে ৫টি গেট রাখা হয়েছে। তার মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সিটিউশনের গেট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ ভিআইপিরা প্রবেশ করবেন। বাকি চারটি গেট দিয়ে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা প্রবেশ করবেন। প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা চেয়ার বসানো হবে।
দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে মঞ্চ
মঞ্চ করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার আদলে। লম্বায় তা ১৫০ ফুট। চওড়ায় ৮৪ ফুট। মঞ্চের ছাদের উচ্চতা ৪২ ফুট। নির্মাণ কাজে যুক্ত কর্মীরা জানান, মূল মঞ্চ হবে পাঁচ স্তরের। একেবারে সামনের অংশটির উচ্চতা হবে আড়াই ফুট। যেখানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা হবে। সাত ফুট উচ্চতার স্থানটিতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বসবেন। আর পেছনের বিভিন্ন উচ্চতার তিন সারিতে কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৫৮ জনের বসার স্থান হবে। মঞ্চের সামনে বিশাল প্যান্ডেল প্রস্তুত করা হয়ে গেছে। এর ভেতরে ২০ হাজার চেয়ার পাতার জায়গা করা হয়েছে। রয়েছে ১৬টি এলইডি টেলিভিশন বসানোর ব্যবস্থা।
এছাড়া রাজধানীসহ বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের ওপরে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এসব তোরণে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের বিভিন্ন আলোক চিত্র সাঁটানো হয়েছে। তাছাড়া জঙ্গিবাদের পক্ষ অবলম্বন করে বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন সময়ে দেয়া বক্তব্য সন্নিবেশিত থাকবে লিফলেট, ব্যানার ও পোস্টারে।
সম্মেলনে ৫০ হাজার লোকের খাবারের মেনু মোরগ-পোলাও
খাদ্য উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম জানান, সম্মেলনে বিদেশি অতিথি, রাজনৈতিক কর্মী ও অন্যান্য অতিথিসহ ৫০ হাজার লোকের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ বিভাগের দুটি বুথ থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা খাদ্য সরবরাহ করা হবে। বিদেশি প্রতিনিধি ও অন্যান্য অতিথিসহ সম্মেলনে মোট ১৫টি বুথ থাকবে। প্রতিটি বুথে ২০ জন ফোর্স, ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও দুজন করে কেন্দ্রীয় নেতা থাকবেন।
আপ্যায়ন উপ-কমিটির সদস্যসচিব ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, প্রথমে তাঁরা ৩৫-৪০ হাজার মানুষের আপ্যায়নের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় সভানেত্রী আরও বাড়াতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এখন তা ৫০ হাজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম দিন দুপুরে মোরগ-পোলাও দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে আগত নেতাকর্মীদের। ওই দিন রাতে থাকছে ভাতের সঙ্গে খাসির রেজালা। আর পরদিন দুপুরের খাবারের তালিকায় রাখা হয়েছে পোলাও ও মুরগির মাংস। প্রতি বেলা আহারের সঙ্গে থাকবে বোতলজাত পানি, কোমল পানীয়, ফিরনি, পান, টিস্যু পেপার ইত্যাদি। এর বাইরে চা ও কফির কর্নার থাকছে।
সম্মেলন উপলক্ষে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথিদের হাতে দেয়া হবে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের ভিডিও সিডি। সেখানে জঙ্গিবাদের পক্ষে দেয়া তাদের বক্তব্য তুলে ধরা হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য সচিব ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের ভিডিও চিত্র ও জঙ্গিবাদের পক্ষ অবলম্বন করে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের বিভিন্ন সময়ে দেয়া বক্তব্যের ধারণকৃত ভিডিও আগত অতিথিদের হাতে দেব। বিএনপি-জামায়াত যে জঙ্গিবাদের পক্ষাবলম্বন করে তা বিশ্ববাসীকে জানাব।
তদারকিতে যুক্ত একাধিক নেতা বলেন, পুরো নগরে সম্মেলনের আলোর বর্ণিল ঝলক ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। কেন্দ্রীয় আয়োজনের বাইরে ঢাকায় দলীয় সংসদ সদস্য ও স্থানীয় নেতারা নিজ নিজ এলাকায় আলোকসজ্জা ও তোরণ নির্মাণ করছেন। ঢাকার বাইরে জেলা ও উপজেলাগুলোতে আলোকসজ্জা ও তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছে স্থানীয় নেতাদের উদ্যোগে। তবে সব আয়োজনের নকশা কেন্দ্রীয়ভাবে ঠিক করে দেয়া হয়েছে।
সাজ-সজ্জা উপ কমিটির সদস্য সচিব মির্জা আজম বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ হবে। এর মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতি এবং গৌরব বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হবে। ঢাকা শহরসহ সারাদেশে আলোকসজ্জা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এসব সাজ-সজ্জায়ও সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সম্মেলনে খরচ আড়াই কোটি টাকা
আগামী এক বছর দল পরিচালনার জন্য ১২ কোটি ৩৫ হাজার টাকা বাজেট নির্ধারণ করেছে আওয়ামী লীগ। ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা দলটির এবারের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে খরচ করা হবে। এছাড়া, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নির্মাণে ব্যয় করা হবে ৫ কোটি টাকা। বাকি টাকা দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যয় করা হবে। গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির এক বৈঠকে বাজেট সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদ সভায় এক বছরের জন্য দলীয় বাজেটের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন দলটির কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান। পরে সেই বাজেট অনুমোদিত হয় বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান। বৈঠকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের নিয়মিত দলীয় চাঁদা পরিশোধ করার নির্দেশ দেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য চাঁদা ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কাউন্সিলরদের বার্ষিক চাঁদা ১শ’ টাকার স্থলে বাড়িয়ে ২শ’ টাকা, দলীয় সংসদ সদস্যদের বার্ষিক চাঁদা ৫শ’ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন