তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার কল্যাণের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে তুরস্ক সংকল্পবদ্ধ। তিনি বলেন, বসনিয়ার মুসলমানদের পাশে থাকবে তুরস্ক। ইস্তান্বুলে বসনিয়ার বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এরদোগান এ কথা জানান। খবর ডেইলি সাবাহর। বৈঠকে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোইলু এবং প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন উপস্থিত ছিলেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় বহু সাংস্কৃতিক ও জাতিগত পরিচয় সংরক্ষণ ও স্থিতিশীলতার জন্য আমরা কোনো বৈষম্য ছাড়াই সহায়তা দিয়ে আসছি। বসনিয়ার যুদ্ধে মুসলমানদের পক্ষে তুরস্কের অবস্থানের কথা তুলে ধরে এরদোগান বলেন, তুরস্ক সবসময় ‘অনেক শক্তিশালী হয়ে ও ভিন্ন উপায়ে’ বসনিয়ার জনগণের পাশে দাঁড়াবে। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় তুরস্কের যে উন্নয়ন প্রকল্প চলছে এতে শুধু বসনিয়ান নয় সার্ব এবং ক্রোয়েটসরাও লাভবান হবেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, তুরস্ক বলকান অঞ্চলের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। এ অঞ্চলের প্রতিটি ঘটনা তুরস্ক নিজের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে। এ ছাড়া এ অঞ্চলের সমস্যার সমাধানে তুরস্ক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। আর তুরস্ক সবসময় বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং বলকান অঞ্চলের কল্যাণে কাজ করবে। তুরস্ক বসনিয়াকে ফের ১৯৯০ এর দশকের মতো ভোগান্তিতে পড়তে দেবে না বলে উল্লেখ করেন এরদোগান। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, বসনিয়ায় বর্তমানে তুরস্কের সরাসরি বিনিয়োগ ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। আমরা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। মহামারি সত্ত্বেও গত বছর যা ছিল ৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ডেইলি সাবাহ এ খবর জানায়। অপরদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়িপ এরদোগান বলেছেন, তুরস্ক আর আজারবাইজান দুই দেশ হলেও এক জাতি। আমরা মনেপ্রাণে এক। আমরা একে অপরের ভাই। ছয় সপ্তাহের যুদ্ধে প্রতিবেশী আর্মেনিয়াকে ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর পরাজিত করে ৩০ বছর পর কারাবাখ অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে আজারবাইজান। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সোমবার কারাবাখ যুদ্ধ জয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছে। খবর আনাদোলুর। তার্কিশ-আজারবাইজানি ফ্রেন্ডশিপ কো-অপারেশন অ্যান্ড সলিডারিটি ফাউন্ডেশনসহ আরও কয়েটি সংস্থা কারাবাখ বিজয়ের বর্ষপূর্তি উদযাপন করে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ছয় সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধ চলে। পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দেশ দুটি শান্তিচুক্তিতে আসে। ওই যুদ্ধে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী ১৯৯০-এর দশকে আর্মেনিয়ার দখলে যাওয়া বেশ কিছু ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করে। এ যুদ্ধে অত্যাধুনিক ড্রোনসহ সামরিক সহায়তা দিয়ে সাহায্য করে তুরস্ক। এ জন্য আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এর জবারে এরদোগান বলেছেন, তুরস্ক আর আজারবাইজান দুই দেশ হলেও এক জাতি। আমরা মনেপ্রাণে এক। আমরা একে অপরের ভাই। আঙ্কারায় কারাবাখ যুদ্ধ জয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন তুরস্কে নিয়োজিত আজারবাইজানের রাষ্ট্রদূত রাশেদ মাম্মাদভ। তিনি বলেন, কারাবাখ যুদ্ধে আমাদের যত ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন ছিল, সবই করেছে তুরস্ক। এ জন্য আমরা তুর্কি ভাইবোনদের কাছে কৃতজ্ঞ। এ বিজয় কেবল আজারবাইজানের নয়, তুরস্কেরও বিজয়। আনাদোলুর খবরে বলা হয়, যুদ্ধে অত্যাধুনিক ড্রোনসহ সামরিক সহায়তা দিয়ে সাহায্য করে তুরস্ক। এ জন্য আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আজারবাইজানের পাশাপাশি আঙ্কারায়ও কারাবাখ যুদ্ধ জয়ের প্রথম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান হয়। এতে উপস্থিত হন তুরস্কে নিয়োজিত আজারবাইজানের রাষ্ট্রদূত রাশেদ মাম্মাদভ। তার্কিশ-আজারবাইজানি ফ্রেন্ডশিপ কো-অপারেশন অ্যান্ড সলিডারিটি ফাউন্ডেশনসহ আরও কয়েকটি সংস্থা তুরস্কে কারাবাখ বিজয়ের এ বর্ষপূর্তি উদযাপন করে। এতে আজারবাইজানের রাষ্ট্রদূত রাশেদ মাম্মাদভ বলেন, কারাবাখ যুদ্ধে আমাদের যত ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন ছিল, সবই করেছে তুরস্ক। এ জন্য আমরা তুর্কি ভাইবোনদের কাছে কৃতজ্ঞ। এ বিজয় কেবল আজারবাইজানের নয়, তুরস্কেরও বিজয়। আনাদোলু, ডেইলি সাবাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন