পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারের প্রবেশধার চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীতে ১৯৬০ সালে নির্মিূত কিপূর্ণ মাতামুহুরী সেতুটি নতুনভাবে নির্মিত হয়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের যাতায়াত নিরাপত্তার জন্য স্বপ্নের সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এতে করে পর্যটকসহ সকল যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার চিরিঙ্গায় ৩২১ মিটার দীর্ঘ ও ১৫.১ মিটার প্রস্থের ছয় লেনের স্বপ্নের মাতামুহুরী সেতুর মধ্যে তিন লেনের নির্মাণকাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে।
সেতুটির দুদিকে ২৭৫ মিটার করে অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার মহাসড়কটি নির্মিত হবে ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে। সেই ডিজাইনের সাথে সঙ্গতি রেখে মহাসড়কে নির্মিত হচ্ছে ছয় লেনের চারটি সেতু। সেগুলো হলো পটিয়ার ইন্দ্রপুল সেতু, চন্দনাইশের বরগুনি সেতু, দোহাজারীর সাঙগু সেতু ও চকরিয়ার মাতামুহুরী সেতু। এই চার সেতুর নির্মাণকাজে অর্থায়ন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। এর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মাতামুহুরী সেতুর ছয় লেনের মূল নির্মাণকাজ শুরু করা হয় ২০১৮ সালের বন্যার পর।
সেতুর মূল নির্মাণকাজের তদারকি করেছে জাইকার নিজস্ব টিম। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ক্রস বর্ডার রোড ইমপ্রুভমেন্ট নেটওয়ার্কের আওতায় চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে ছয় লেনের উক্ত চার সেতুর মধ্যে প্রথমবারের মতো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মাতামুহুরী সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেতুটির তিন লেন এবং দুদিকের অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকি তিন লেনের কাজ শুরু করতে বিদ্যমান পুরনো সেতুটি ভেঙে সেখানে নতুন করে পাইলিংয়ের কাজ শুরু করা হবে।
সূত্র জানান, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে তিন লেনের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হবে মহাসড়কের দোহাজারীর সাঙগু সেতুর। তখন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাতামুহুরী সেতু ও সাঙগু সেতুর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। তবে চলতি মাসের শেষ দিকে যানবাহন চলাচলের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে মাতামুহুরী সেতুর তিন লেন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা দ্রুত গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছয় লেনের এই সেতুর মধ্যে মাঝখানের চার লেনে চলাচল করবে দূরপাল্লার ও দ্রুত গতির যানবাহন। বাকি দুই লেন দিয়ে চলবে ধীরগতির যানবাহন। এই দুই লেনের উভয় পাশ ব্যবহারের জন্য এক মিটার করে উন্মুক্ত থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন