স্বাধীনতা যুদ্ধের অগ্রসৈনিক জাতির গর্ব ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং ভাষা আন্দোলনের সূচনা সৈনিক সাবেক প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য জাতীয় বীর মেজর এম এ গণির ৬৫তম মৃত্যু দিবস আজ।
মেজর আবদুর গণির জন্ম ১৯১৫ সালের ১ ডিসেম্বর কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাগাইশ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। ১৯৪১ সালে মেজর গণি যোগ দেন ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাইনিয়র কোরে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে।
১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গল রেজিমেন্টের মাধ্যমেই মেজর গণি মূলত ভাষা আন্দোলনের সূচনা করে ছিলেন। সুতরাং মেজর গণি শুধু একজন সেনা অফিসার ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন বায়ান্নর মহান ভাষা আন্দোলনের একজন অগ্রনায়ক। মাত্র ৪২ বছরের নাতি-দীর্ঘ জীবনে ও ১০ বছরের অতি সংক্ষিপ্ত সামরিক চাকরিতে এবং ৪ বছরের রাজনৈতিক পরিসরে তিনি দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্ব পালনের চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে ইতিহাসের পাতাকে রাঙিয়েছেন।
ব্যক্তিজীবনে মেজর গণির স্ত্রী বেগম আছিয়া গণি আর নেই। তার দুই ছেলে কর্নেল (অব.) তাজুল গনি ও লে. কর্ণেল (অব.) খালেদ গণি বর্তমানে বিদেশে বসবাস করেন। তিন কন্যা মাহমুদা বেগম, হাসিনা বেগম ও প্রয়াত সাজেদা বেগম।
এই বীর সৈনিকের ৬৫তম মৃত্যু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন (রাওয়া), মেজর গণি পরিষদ ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কুমিল্লা সেনানিবাসে তাঁর সমাধি সৌধে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠান প্রতি বছর পালিত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মরহুম গণির স্মরণে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) এর মাননীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট আবুল হাসেম খান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন