রাবি রিপোর্টার : হিজড়াদের মারপিটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষক কামাল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। গতকাল দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর অক্টয়মোড় এলাকায় হিজড়াদের কবলে পড়েন ওই শিক্ষক। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩১নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন হিজড়াকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মহানগরীর অক্টয়মোড় এলাকায় হিজড়ারা শিক্ষক কামাল হোসেনের পথ অবরোধ করে তার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে হিজড়ারা তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকেন। এর একপর্যায়ে ওই শিক্ষককে মারপিট করেন তারা। এতে তিনি বাম হাতে ও ঘাড়ে আঘাত পান। এরপর ঘটনাস্থল থেকে তিন হিজড়াকে আটক করে মতিহার থানা পুলিশ।
কামাল হোসেনের সঙ্গে থাকা তার স্ত্রী মোছাম্মত নীলা খাতুন বলেন, ‘তারা টাকা চাইলে আমি তাদের ১০০ টাকা দিই। কিন্তু তারপরও তারা আমার বাচ্চাকে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছিল। পরে আমার স্বামীকে তারা গুরুতর আহত করে।’
এ ব্যাপারে মতিহার থানার ওসি বলেন, এ ঘটনায় তিনজন হিজড়াকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হিজড়ার কামড়ে রিকশাচালক আহত
শ্রীমঙ্গল উপজেলা সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এক হিজড়ার কামড়ে আহত হয়েছেন এক দিনমজুর রিকশাচালক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় শ্রীমঙ্গল হবিগঞ্জরোডস্থ মানিকচাঁদ মিষ্টান্ন ভা-ারের সামনে হঠাৎ এক রিকশাচালকের ওপর হামলা করে একদল হিজরা। রিকশাচালক শিপন মিয়া (৩৮) রিকশায় যাত্রী নিয়ে মানিকচাঁদ মিষ্টান্ন ভা-ারের কাছে আসেন মিষ্টি কেনার জন্য। যাত্রী মিষ্টি কেনার জন্য দোকানের ভিতর গেলে বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন রিকশাচালক শিপন মিয়া। ঠিক ওই সময় কয়েকজন হিজড়া রিকশায় উঠে বসে তাকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। রিকশাচালকের যাত্রী থাকায় সে যেতে পারবে না বলে জানায়। তখন এক হিজড়া রিকশাচালকের পকেটে হাত দিয়ে টাকা নিয়ে যায়। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে রিকশাচালকের চোখের ওপর কামড় দিয়ে বসে। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হিজড়ারা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় রিকশাচালককে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার চোখের ওপর ৪টি সেলাই লাগে এবং প্রচুর রক্তপাত হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হিজড়াদের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন