বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অনন্ত হত্যা মামলা ফের তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সিলেট অফিস : বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলা পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার আলোচিত এ মামলা থেকে ১১ জনকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে সিআইডির দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন সিলেট মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক হরিদাশ কুমার। আদালতের এপিপি খোকন কুমার দত্ত জানান, গত ২৮ আগস্ট পাঁচজনকে আসামি করে এবং ১১ জনকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে অনন্ত হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়। চার্জশিটের ওপর গতকাল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত পুনরায় তদন্ত শেষে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
চার্জশিটে অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হচ্ছেনÑ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ফালজুড় গ্রামের জমশেদ আলীর ছেলে আবুল হোসেন ওরফে আবুল হোসাইন (২৫), একই উপজেলার খালপাড় তালবাড়ি গ্রামের আবদুর রবের ছেলে ফয়সাল আহমদ (২৭), সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্র নগর বাগলী গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে হারুনুর রশিদ (২৫), কানাইঘাট থানার পূর্ব ফালজুড় গ্রামের হাফিজ মঈন উদ্দিনের ছেলে মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এ বি মান্নান ইয়াহিয়া ওরফে ইবনে মঈন (২৪) এবং ফালজুড় গ্রামের জোয়াদুর রহমানের ছেলে আবুল খায়ের রশিদ আহমদ (২৪)। এদের মধ্যে মান্নান ইয়াহইয়া ও আবুল খায়ের ছাড়া বাকিরা পলাতক।
মামলা থেকে যে ১১ জনকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে তারা হচ্ছেনÑ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কালীশ্রী পাড়ার ফেরদৌস-উর-রহমানের ছেলে শফিউর রহমান ফারাবী (৩০), সিলেটের স্থানীয় দৈনিক সবুজ সিলেটের আলোকচিত্রী ইদ্রিছ আলী (২৪), সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার পূর্ব ফালজুড় গ্রামের হাফিজ মঈন উদ্দিনের ছেলে মোহাইমিন নোমান (১৯), লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার রমনপুর জমাদার বাড়ির মোহাম্মদ আলীর ছেলে সাদেক আলী মিঠু (২৮), যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার এসএমএ করিম রোডের এ এফ রশিদুর রহমানের ছেলে তৌহিদুর রহমান গামা (৫৯), ঢাকার মিরপুরের জব্বার মল্লিকের ছেলে আমিনুল মল্লিক (৩৫), যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ কাজলার মইনউদ্দিনের ছেলে জাকিরুল্লাহ হাসান (১৯), পল্লবীর বাউনিয়াবাদ কলোনির তাজুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরফান মুসফিক (২০), বাগেরহাটের গোয়াখালি গ্রামের রেজাউল কবির বিশ্বাসের ছেলে জুলহাস বিশ্বাস (২৪), নওগাঁ জেলার মহাদেবপুরের ডা. আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে জাফরান হাসান (২০) এবং বরগুনার হেউলিবুনিয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে আবুল বাশার (৪০)। আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী তদন্তে এ ১১ জনের বিরুদ্ধে ‘অপরাধ সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি’ বলে উল্লেখ করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন