শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জঙ্গিদের সমর্থনদাতারা আগামী নির্বাচনে পরাজিত হবে : মো. নাসিম

প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম জঙ্গিবাদ ও জঙ্গিসঙ্গীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদের রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, যারা জঙ্গিদের সমর্থন দিচ্ছেন, ২০১৯ সালে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তাদের আবারও পরাজিত হবে। নির্বাচনে মাঠে তাদের আসতেই হবে। এবার আর তারা মাঠ ছাড়তে পারবে না। জঙ্গিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) আয়োজিত ‘জঙ্গিবাদ নির্মূল ও জঙ্গি-সঙ্গী বর্জন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বেগম খালেদা জিয়া প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জঙ্গিদের সমর্থন করে যাচ্ছেন। এর মূল কারণ, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলকে ঘায়েল করা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ দমনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়েছে। যার জন্য জঙ্গিবাদ দমনে সফল হওয়ায় সারাবিশ্ব থেকে প্রশংসা পাচ্ছে বাংলাদেশ। খালেদা জিয়া জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। গুলশানের হামলার পর প্রধানমন্ত্রী যখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন, তখন খালেদা জিয়া নির্বাচন চেয়েছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগ ব্যর্থ করার। কিন্তু তার সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া কোন আন্দোলন সফল হতে পারে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জনগণের শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি। যে কোন আন্দোলনের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া আন্দোলন সফল হতে পারে না। ’৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল। জাসদও গণবাহিনী গঠন করেছিল সফল হতে পারেনি। তারা অবশ্য পরে বলেছে এটা ঠিক হয়নি।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, খালেদা জিয়া ও বিএনপি যুদ্ধাপরাধী, পনের আগস্টের খুনীদের, একুশে আগস্টের খুনীদের, আগুন সন্ত্রাসীদের এবং জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। এ পৃষ্ঠপোষকদের বিচার করতে আইনের জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। খালেদা জিয়া ও বিএনপিসহ জঙ্গি মদদদাতা দলগুলোকে আইনের আওতায় এনে এ দেশের রাজনীতি থেকে বর্জন করতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার এ দেশে রাজনীতি করার কোন যোগ্যতা নেই। এ দেশকে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে খালেদা জিয়া ও তার দল যেভাবে রাজনীতি করছে, তা বন্ধ করতে হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মু. শফিকুর রহমান বলেন, জাতীয় জাগরণ ছাড়া জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা রোধ করা যাবে না। পঁচাত্তরের পর জিয়াউর রহমানের হাত ধরে এ দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে। যা পরবর্তী এরশাদ ও খালেদা জিয়ার হাত ধরে আরও বেগবান হয়েছে। খালেদা জিয়ার লজ্জা নেই। লজ্জা থাকলে তিনি যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আব্দুল আলিমের ছেলেকে বিএনপির জাতীয় কমিটিতে স্থান দিতেন না।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ বলেন, জঙ্গিবাদ নির্মূলে পৃষ্ঠপোষকতা মূল সমস্যা। রাজনৈতিক, সামাজিক, দেশি-বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। একটি আইনি কাঠামো তৈরি করে এ পৃষ্ঠপোষকদের প্রতিরোধ করতে না পারলে, তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাবে। পৃষ্ঠপোষকদের রেখে জঙ্গিবাদকে রুখে দেয়া সম্ভব না।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে সেমিনারে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া, সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবিব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন