কর্পোরেট রিপোর্টার : শেষ হয়েছে খাদ্যমেলা। বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর খামারবাড়ীর বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চ সেন্টারে (বিএআরসি) এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, খাদ্যমেলায় দর্শনার্থীদের বিপুল সাড়া পাওয়া গেছে। তবে দর্শকের চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন প্রদর্শনীর পাশাপাশি বিক্রির ব্যবস্থা করা যায়নি। আগামীতে বিক্রির ব্যবস্থাও থাকবে। মেলায় তরুণদের পদচারণা ছিল বেশি। আয়োজক এবং দর্শনার্থী সবাই খুশি। মেলায় রফতানিযোগ্য ফলমূল ও শাকসবজির প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি আইটেম প্রদর্শন করা হয় প্রতিটি স্টলে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের স্টলে গিয়ে দেখা যায়, তাদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতের ধানের বীজ, ধানের চারা, বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের ধানের নমুনা প্রদর্শন করেছে। এবারের মেলায় ইন্সটিটিউট ব্রি ধান-৬২, ব্রি ধান-৬৭, ব্রি ধান-৭০, ব্রি ধান-৭১, ব্রি ধান-৭২, ব্রি ধান-৭৩ নামে নতুন ছয় ধানের জাত এনেছে। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের স্টলে প্রদর্শন করা হয়েছে ছাদে বাগান করার বিভিন্ন গাছ ও এর পরিচর্যার নিয়মাবলী। ছিল ভিন্ন রকমের গাছের নমুনা যেমন স্কোয়াস, পুদিনা, পাথরকুচিসহ অনেক গাছ। এছাড়া ছিল ভাসমান বেডে চাষাবাদের উপযোগী বিভিন্ন গাছ, শাকসবজি ও তার নমুনা। রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের বীজ। দেশীয় খাদ্য পরিচিতির ডেস্কে বিভিন্ন পিঠা, হালিম, হালুয়া, বিভিন্ন গমের রেসিপি, ভুট্টার রেসিপি, মাশরুমের রেসিপিসহ নানা খাবার। দর্শনার্থীরা এসব ঘুরে ঘুরে দেখেছেন এবং বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন