শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

শেখ রাসেলের জন্মদিন পালিত

প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৫৩তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।
শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কেক কাটা, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আনন্দ র‌্যালি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। ১৯৬৪ সালের এই দিনে শেখ রাসেল ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।
এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গতকাল সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্ট নিহত শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম আমিন ও এস এম কামাল হোসেন, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ইতিহাসে অনেক হত্যাকা- ঘটেছে। শেখ রাসেলের হত্যাকা- সর্বনিকৃষ্ট ও ঘৃণিত হত্যাকা-। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর থেকে যে হত্যা-খুনের রাজনীতি শুরু হয়েছে তা এখনো চলমান।
পরে বনানী কবরস্থান মসজিদে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মিলাদে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদনের শেষে শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, শেখ রাসেল শিশু সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন।
শেখ রাসেলের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ সকাল ১০টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
এদিকে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি কমিউনিটি সেন্টারে বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহর সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
শেখ রাসেলের ৫৩তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সামনে যৌথভাবে শিশু সমাবেশের আয়োজন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও স্মৃতি জাদুঘর।
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো: মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন, ধর্মসচিব মো: আব্দুল জলিল, স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। দিবসটি উপলক্ষে শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।
১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন শেখ রাসেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন তিনি। এ সময় তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।

 

আমি বৈধ প্রেসিডেন্ট
Ñএরশাদ
জিনপিং-রওশন বৈঠক না হওয়ায় ক্ষুব্ধ জাপা চেয়ারম্যান
ইনকিলাব ডেস্ক : জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিজেকে বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাবি করে বলেছেন, গণভবন থেকে তার ছবি সরানো সম্ভব নয় এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি সব সুবিধা পাওয়ার দাবিদার। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি কোনও বেতন ভাতা নেন না। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের দর্শনা এলাকায় নিজ বাসভবন পল্লী নিবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় সংসদে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্টরা বেতন ভাতাসহ কোনো সুযোগ সুবিধা পাবেন না মর্মে বিল পাস হওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ সব কথা বলেন। এরশাদ বলেন সুপ্রিম কোর্ট আর হাইকোটের আদেশ অনুযায়ী ১৯৮৬ সাল থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত আমি বৈধ প্রেসিডেন্ট। গণভবনে আমার ছবি আছে যা চিরকাল থাকবে।
এরশাদ বলেন, তাছাড়া আমার প্রসঙ্গে ওই বিলে কিছু বলা হয়নি। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি কোনো বেতন ভাতা নেই না। সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান হিসেবে পেনশন পাই, সেই টাকা নিয়মিত উত্তোলন করি। এ সময় জাতীয় পার্টিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য গণসংযোগের অংশ হিসেবে দ্রুত রংপুরে মহাসমাবেশ করা হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় বিরোধীদলীয় নেতা হয়েও রওশন এরশাদ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাৎ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে মেরুদ-হীন আখ্যায়িত করে পুরো নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজাতে ও যোগ্য নিরপেক্ষ লোকদের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এর আগে ঢাকা থেকে বিমান যোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করে তার পল্লী নিবাস বাসভবনে এসে পৌঁছলে দলের নেতা কর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। এ সময় মহানগর জাপার আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সদস্য সচিব ইয়াসিরসহ দলীয় অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন