বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নব্য জেএমবির ফান্ডে কয়েক কোটি টাকা দেন ডা: রোকন তানভীর ও জাহিদ

প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:০১ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০১৬

সংবাদ সম্মেলনে বললেন মনিরুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার : নব্য জেএমবির ফান্ডে কয়েক কোটি টাকা দিয়েছিলেন ডা: রোকনউদ্দিন খন্দকার, তানভীর কাদেরী ওরফে শমসেদ ওরফে আবদুল করিম ও মেজর (অব:) জাহিদুল ইসলাম। এসব অর্থ গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাসহ জঙ্গি কার্যক্রমে ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়া জেএমবির তহবিল জোগাতে ডাকাতি করত জঙ্গিরা। সোমবার রাতে রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে ৭ জঙ্গিকে গ্রেফতারের পর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এ কথা জানান।
মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশান হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার অর্থের জোগানদাতাদের চিহ্নিত করা গেছে। সিরিয়ায় সপরিবারে পাড়ি জমানোর আগে ডা: রোকনউদ্দিন খন্দকার জেএমবি ফান্ডে ৮০ লাখ টাকা দিয়ে গেছেন। বর্তমানে রোকন সপরিবারে বিদেশে অবস্থান করলেও নব্য জেএমবির সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। এর আগে রূপনগরে পুলিশি অভিযানে নিহত মেজর (অব:) জাহিদুল ইসলাম তার অবসর সুবিধাসহ অন্যান্য অর্থ সংগঠনে দিয়েছেন। আজিমপুরে নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরীর উত্তরায় কয়েক কোটি টাকার ফ্ল্যাট ছিল। ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে যে টাকা পেয়েছে তা নব্য জেএমবির তহবিলে জমা দেয়। এছাড়া সঞ্চিত অর্থও সংগঠনকে দিয়েছিল তানভীর কাদেরী।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার অর্থের জোগানদাতাদের চিহ্নিত করা গেছে।
খন্দকার নামে সিরিয়ায় পাড়ি জমানো এক চিকিৎসক জঙ্গি সংগঠনটিকে (নব্য জেএমবি) বিপুল অর্থ দান করে গেছেন। পুলিশি অভিযানে নিহত মেজর (অব:) জাহিদুল ইসলাম তার অবসর সুবিধাসহ অন্যান্য অর্থ সংগঠনে দিয়েছেন। নিহত আরেক জঙ্গি তানভীর কাদেরী তার ফ্ল্যাট বিক্রিসহ সঞ্চিত অর্থ সংগঠনকে দিয়েছেন। বিদেশে থাকা কোনো কোনো সদস্যের কাছ থেকেও অর্থ এসেছে। এ ছাড়া আরো অর্থদাতা থাকতে পারেন। তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই রাতে উগ্রবাদীরা হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে ২০ জন দেশী-বিদেশী নাগরিককে হত্যা করে। তাৎক্ষণিক অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হন পুলিশের দু’জন কর্মকর্তা। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের জিম্মি উদ্ধার অভিযানে পাঁচ উগ্রবাদী এবং ওই রেস্তোরাঁর এক কর্মচারী নিহত হন। এরপর গত ২ সেপ্টেম্বর মিরপুর রূপনগর জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে মেজর (অব:) জাহিদ হোসেন নিহত হন। এ ঘটনার আট দিন পর অভিযান চালানো হয় আজিমপুরে উগ্রবাদীদের আস্তানায়। অভিযানে মারা যায় নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য তানভীর কাদেরী। আটক করা হয় তার স্ত্রী-ছেলেসহ আরো দুই নারীকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
মুন ১৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:৩২ পিএম says : 0
এদের মদদদাতাদেরকেও দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে।
Total Reply(0)
সাব্বির ১৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:৩৩ পিএম says : 0
জঙ্গি প্রতিরোধে সমাজ সচেতনতা বাড়াতে হবে।
Total Reply(1)
Munna ১৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:৩৫ পিএম says : 4
ar sathe Islam er sothik sikkha manuser kase pousate hobe

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন