স্টাফ রিপোর্টার
টাঙ্গাইলের সখিপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে (এমপি) নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্যের ঘটনায় স্কুলছাত্র সাব্বির শিকদারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া দুই বছরের কারাদ-ের সাজা বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এছাড়া ওই ছাত্রের জবানবন্দীর আলোকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
‘বয় জেইলড ফর এফবি কমেন্ট অ্যাবাউট এমপি’ এই শিরোনামে গত ২০ সেপ্টেম্বর ইংরেজি দৈনিকে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এতে বলা হয়, ফেসবুকে টাঙ্গাইল-৮ আসনের সাংসদ অনুপম শাহজাহানকে ‘হুমকি’ দেয়ায় টাঙ্গাইলের ভ্রাম্যমাণ আদালত তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্র সাব্বির শিকদারকে দুই বছরের কারাদ- দেন। পরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনলে গত ২০ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরকে জামিন দিয়ে ইউএনও ও ওসিকে তলব করেন আদালত। তাদের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যাও চান। আদালতে তাদের পক্ষে শুনানি করেন নুরুল ইসলাম সুজন, শ ম রেজাউল করিম। ২৭ সেপ্টেম্বর ইউএনও ও ওসি হাইকোর্টে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের বক্তব্য হলফনামা আকারে আদালতে দাখিল করেন। শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য ১৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। গতকাল আদালত এ আদেশ দেন। রায়ের পর খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, যে সাজাটা দেয়া হয়েছিল, তা বাতিল করে দিয়েছেন। জবানবন্দীর আলোকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও তাদেরকে ঢাকা বিভাগের বাইরে অন্যত্র যুক্ত করতে আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ের পর ওই স্কুলছাত্রের বাবা সাংবাদিকদের বলেন, আমি ছেলের নিরাপত্তা চাই। আমরা গরিব-অসহায়। টাঙ্গাইলেই যেন তাকে পড়ালেখা করানো যায়। টাঙ্গাইলের বাইরে যাতে নিতে না হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন