ইনকিলাব ডেস্ক
ভারতের ভুবনেশ্বরে ‘মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড এসইউএম’ হাসপাতালে ওয়ার্ডের ভিতরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ও ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা গেছেন অন্তত ২৪ জন। তাদের মধ্যে ৪ জন মহিলা ও একটি শিশু রয়েছে। জানা গেছে, শর্ট সার্কিট থেকেই এমন ভয়াবহ কা- ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ শহরের প্রথম শ্রেণির এই হাসপাতালের ডায়ালাইসিস ইউনিটে আগুন লাগে। সেটি তিন তলায়। তার ঠিক পাশেই আইসিইউ। মুহূর্তে তা সেখানেও ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু হাসপাতালটি পুরোটাই কাচের তৈরি এবং ভেন্টিলেশনের কোনও ব্যবস্থা নেই, তাই নিমেষের মধ্যে কালো ধোঁয়ার কু-লীতে ভরে যায় চার দিক। প্রাণ বাঁচাতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। রোগী, রোগীর আত্মীয়, ডাক্তার-নার্স-সহ অন্য কর্মীরা প্রত্যেকেই তখন আর্ত চিৎকার করছেন। দমকলের ২৪টি ইঞ্জিন ও ১০৮ জন কর্মী তখন উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। এক দমকল কর্মী বলেন, ‘সিঁড়ি দিয়ে রোগীদের নামানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাদের আমরা চাদরে বেঁধে কাঁচের দেওয়াল ভেঙে নামাই। ’
তবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ও দমবন্ধ হয়ে কতজন হাসপাতালের মধ্যেই মারা গেছেন, সে বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেননি এসইউএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু যেসব হাসপাতালে রোগীদের নিয়ে যাওয়া হয়, তাদের মধ্যে আমরি ভুবনেশ্বর জানিয়েছে, তাদের কাছে মোট ৩৮ জনকে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে ১০ জন এসেছেন মৃত অবস্থায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও অনেকেই ভর্তি সেখানে। সরকারি ক্যাপিটাল হাসপাতাল ১৪টি লাশ পেয়েছে বলে জানিয়েছে। কীভাবে এই আগুন লাগল? দমকল বিভাগের ডিজি বিনয় বেহেরা বলেন, ‘২৪টিরও বেশি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজে লাগানো হয়েছে। তবে কী থেকে এতবড় আগুন লাগল তা বোঝা যাচ্ছে না। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ডায়ালাইসিস ইউনিটে শর্ট সার্কিট থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে।’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও প্রায় একই দাবি করেছেন। তবে এক ডায়ালাইসিস রোগীর আত্মীয় জানান, ওই ইউনিটের একটি এসিতে আগুন ধরে যায় এবং তা চোখের নিমেষে ছড়িয়ে যায় আইসিইউ-তেও। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানতে তিন সদস্যের কমিটি গড়েছে ওডিশা সরকার। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আগুন লাগার সময় ৪০ জনেরও বেশি রোগী ছিলেন ডায়ালিসিসে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন