পরিবহন খরচের কারণে বাড়ে সবজির দাম। যানজটে পড়ে পচে যায়। আর ট্রাকে সবজি পরিবহনে রয়েছে নানা জটিলতা। এছাড়াও রয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য। এসব ক্ষতি থেকে সবজির মান ও দাম ঠিক রাখতে ট্রেনে সবজি পরিবহনের কথা উঠেছে কৃষকদের পক্ষ থেকে। প্রস্তাব পেলে বিষয়টি নিয়ে এগোবে সরকার। এমনটাই জানালো রেল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বগুড়া থেকে এক ট্রাক সবজি আনতে ট্রাক ভাড়া গুনতে হয় ২৫-২৬ হাজার টাকা। রাস্তায় চাঁদাবাজি তো আছেই। যার কারণে বগুড়ার ৮ টাকা কেজির সবজি রাজধানীবাসীকে কিনতে হয় ৮০ টাকায়। কৃষকরা জানিয়েছেন, ট্রাকের পরিবর্তে ট্রেনে সবজি পরিবহন করার সুবিধা থাকলে তাদের লাভ হবে। ক্রেতারা পাবেন তাজা সবজির স্বাদ।
চাষিরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ম্যাঙ্গো ট্রেন চালু হয়। মৌসুম শেষ হলে গত ১৫ জুলাই থেকে ওই ট্রেন বন্ধ হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই ট্রেনে আম পরিবহন করে রেলওয়ের আয় হয়েছিল প্রায় সাড়ে ২৬ লাখ টাকা। একইভাবে সবজি অধ্যুষিত এলাকাগুলো থেকে ট্রেনে সবজি পরিবহনের সুবিধা পাওয়ার আশা করছেন কৃষকরা। এই ব্যবস্থা চালু হলে তারা নিজেরাই সরাসরি আড়তদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সবজি পাঠাবেন।
ট্রেনে সরাসরি পাঠালে রাজধানীর ক্রেতাদের ৮ টাকার সবজি ৮০ টাকায় কিনতে হবে না। কৃষকরাও লোকসানে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হবে না। বগুড়া, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, দিনাজপুর, নওগাঁ ও নরসিংদী থেকে রাজধানীতে রেল যোগাযোগ রয়েছে। এসব স্থান থেকে সবজি ট্রেন চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা। তারা বলছেন, এতে রেল কর্তৃপক্ষের লাভও হবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সড়ক পথের চেয়ে রেলপথে পণ্য পরিবহন বেশি নিরাপদ। ট্রেনে ঢাকায় এক কেজি আম পাঠাতে এক টাকা ৩০ পয়সা খরচ হয়েছে। কুরিয়ারে লাগে ১২ টাকা। এ ছাড়া ট্রেনে আম বেশি সময় বাক্সবন্দি থাকে না বলে ক্ষতিও হয় না। একই সুবিধা পাওয়া যাবে সবজিতেও।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, আমের মতো সবজি পরিবহনের বিষয়টিও ভাবা যেতে পারে। কৃষকরা চাইলে সবজি পরিবহনে এ সুবিধা দেয়া যেতে পারে। এতে সময় বাঁচবে, দাম কমবে। সবজিও পচন থেকে রেহাই পাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন