শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শিশুশ্রম নিরসনে মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি এমপিদের

জাতীয় সংসদ ভবনে মতবিনিময় সভা

প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : শিশুশ্রম নিরসনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন এমপিরা। তারা বলেছেন, শিশুশ্রম নিরসনে সরকার ইতোমধ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। যার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এই কাজের সঙ্গে ৪৭টি মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
গতকাল বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের আইপিডি সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এমপিরা একথা বলেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি)’র শিশুশ্রম নিরসন সংক্রান্ত লক্ষ্যসমূহ অর্জনে ভারতের নয়াদিল্লিভিত্তিক গ্লোবাল মার্চ এগেইনস্ট চাইল্ড লেবারের সহায়তায় বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম (বিএসএএফ) এই সভার আয়োজন করে।
বিএসএএফ’র চেয়ারপার্সন মো. এমরান-উল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। আলোচনায় অংশ নেন সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম, নাজমুল হক প্রধান, উম্মে রাজিয়া কাজল ও কবি কাজী রোজী এবং বিএসএএফ’র পরিচালক আব্দুস সহিদ মাহমুদ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অডিনেটর আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ডেপুটি স্পিকার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, শিশুশ্রম বন্ধে সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও সদিচ্ছা রয়েছে। ইতোমধ্যে জাতীয় শিশুশ্রম নীতিমালা প্রণয়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তার এই ঘোষণা বাস্তবায়নে এসংক্রান্ত আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকারের উদ্যোগের ফলে যেভাবে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমানো সম্ভব হয়েছে। একইভাবে শিশু শ্রম নিরসন করা সম্ভব হবে। তবে সরকারের পাশাপাশি জনগণকে আরো সচেতন হতে হবে। নিজের ঘরে শিশুশ্রমিক রাখা বন্ধ করতে হবে।
ইসরাফিল আলম এমপি বলেন, সরকারের পদক্ষেপের ফলে শিশুশ্রম অর্ধেকে নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও সেই স্বীকৃতি দিয়েছে। বর্তমান সরকার শ্রম আইনে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করেছে। এখন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর সেটা করা হলে শিশুশ্রম বন্ধ করা সহজ হবে।
দারিদ্র্যতাকে শিশুশ্রমের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করে নাজমুল হক প্রধান এমপি বলেন, শিশুশ্রম বন্ধে শুধু শহরে কাজ করলে হবে না। শিশুশ্রমের মূল উৎস্য গ্রামেও যেতে হবে। দরিদ্র মানুষের জন্য গ্রামে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে শিশুদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে হবে।
কবি কাজী রোজী এমপি বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা এগিয়ে চলেছি। ইতোমধ্যে সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। আরো পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা উত্থাপনের আশ্বাস দেন। উম্মে রাজিয়া কাজল এমপি শিশুশ্রম বন্ধে সরকারের নেয়া পদক্ষেপে বেসরকারি ও দাতা সংস্থাগুলোকে আরো বেশি সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান।
লিখিত প্রবন্ধে বলা হয়, দেশে এখনো ১৩ লাখ শিশু নানা ধরনের শ্রমের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে ৪ লাখ ২০ হাজার শিশু গৃহকর্মে নিয়োজিত আছে। এসকল শিশুকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা করা প্রয়োজন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন