কারাগারে বন্দীদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর বিষয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। মামলার কৌঁসুলি মোহাম্মদ শিশির মনির গতকাল এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রকৃত আসামি শনাক্ত করতে দেশের সব কারাগারের কয়েকদিনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে বায়োমেট্টিক ডাটা পদ্ধতি চালু করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে নাÑ তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এ প্রেক্ষিতে কারা কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। এতে বলা হয়, কারাগারে ডাটাবেজ সংরক্ষণ করা হয়। একই সাথে কয়েকটি কারাগারে পাইলট প্রকল্প চালু করা হয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রকৃত আসামি শনাক্তকরণে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের সহযোগিতায় বন্দিদের ডাটাবেজ সংরক্ষণ করছে কারা কর্তৃপক্ষ। পাইলট প্রজেক্ট রয়েছে কাশিমপুর, কেরানীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ কারাগারে। এ প্রতিবেদনের বিষয়ে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিচারপতি মো. আতাউর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে গত ২৮ জুন প্রকৃত আসামি চিহ্নিত করতে দেশের সব কারাগারের কয়েকদিনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক ডাটা পদ্ধতি চালু করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে নাÑ তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব ও কারা মহাপরিদর্শককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
চট্টগ্রামে একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নারী আসামি কুলসুমা বেগম কুলসুমির পরিবর্তে নিরীহ মিনুআরা বেগমের কারাভোগের ঘটনায় মামলা সংক্রান্ত শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেয়া হয়। মিনু আরার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। আর ওই মামলার তিন আইনজীবীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন